ঢাবি স্নাতকে ভর্তির আবেদন শুরু ৮ মার্চ, বেড়েছে আবেদনের যোগ্যতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ৮ মার্চ বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে। যা শেষ হবে ৩১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। টাকা জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১ এপ্রিল পর্যন্ত। গত বছরের তুলনায় এবার আবেদনকারীদের আবেদনের যোগ্যতা নম্বর বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি বিষয়ক সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ‘ক’ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ দশমিক ৫ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩ দশমিক ৫); ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ (আলাদাভাবে ৩); ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ ( আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫); ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য মানবিক শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ (আলাদাভাবে ৩) ও বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ দশমিক ৫ (আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫) এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩) থাকতে হবে।
যদিও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটে আবেদন করতে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫-সহ মোট ৮ ছিল। ‘খ’ ইউনিটের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল আলাদাভাবে ৩-সহ মোট ৭ এবং ‘গ’ ইউনিটে উচ্চমাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫-সহ মোট ৭ দশমিক ৫ ছিল। এবার তা বেড়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে, খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে, গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে, ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে এবং চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র ‘চ’ ইউনিটে এমসিকিউ ৪০ এবং ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা ও তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://admission.eis.du.ac.bd এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments