এখন পর্যন্ত ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকায় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নেন। ছবি: পিআইডি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘টিকা নিতে কেন এত উদ্বেগ? এটি এত সহজ যে টিকা দেয়ার সময় আমি কিছুই অনুভব করিনি! এটা খুব আনন্দের বিষয় যে ১৫ লাখেরও বেশি লোক ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন… আমি শুনেছি যে টিকা কার্যক্রম সুন্দরভাবে এগিয়ে চলছে।’

করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

খুব সুন্দরভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।

কেবলমাত্র ৩০ থেকে ৩৫টি দেশ ভ্যাকসিন পেয়েছে, অনেক উন্নত দেশ এখনও তা পায়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশে এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে।

‘আমি সেই দিনের কথা স্মরণ করি যখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে আমরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার পরই পেয়ে যাব। ভ্যাকসিনটি তৈরি হওয়ার আগে আমরা অনেক দেশ এবং সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছি যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যক্তি এটি পেতে পারে।’

সবার জন্য ভ্যাকসিন

‘আমরা দৃঢ়ভাবে আহ্বান করেছি যাতে বিশ্বের প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পান। এটি জনস্বার্থের জন্য… সুতরাং কাউকে পেছনে ফেলে রাখা উচিত নয়। একে অপরকে সহায়তার জন্য আমাদের দেশগুলোর সাথে একটি বড় অংশীদারিত্ব এবং তাদের থেকে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন,’ বলেন মন্ত্রী।

বিদেশি কূটনীতিকদের টিকা দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তারা প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ভ্যাকসিন পাবেন।’

সরকার গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করে। প্রথমদিন ৩০ জন কূটনীতিক টিকা নেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার দেশব্যাপী গণ কোভিড-১৯ টিকা দেয়া শুরু করে।

টিকাদানকে সফল করতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সংগ্রহ করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সারা দেশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়টি নিতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Childhood lost in rolling biris

When you think about child labour in Bangladesh, your mind might first drift to the sights of children toiling in construction sites without any safety precaution, inhaling toxic fumes in welding workshops, or dismantling ship parts in a dockyard.

18h ago