মঙ্গলের ছবি পাঠিয়েছে নাসার ‘পারসি’

Perseverance rover
পারসিভেরেন্স রোভার। ছবি: নাসা

মঙ্গলের মাটিতে নিরাপদে নেমেছে নাসার নতুন রোভার পারসিভেরেন্স। লাল গ্রহে অবতরণের পর সেখানকার ছবিও পাঠিয়েছে মহাকাশযানটি।

পৃথিবী থেকে প্রতিবেশী মঙ্গলে যেতে রোভারটিকে পাড়ি দিতে হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি মাইল। এ যাত্রায় সময় লেগেছে প্রায় ছয় মাস।

আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে মঙ্গলে অবতরণ করে পারসিভেরেন্স।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ২০২০ সালের মঙ্গল মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টজনরা আদর করে এই রোভারটিকে ‘পারসি’ বলে ডাকছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী গ্রহটির বিষুবরেখার কাছাকাছি বিশাল এক গহ্বরে নেমেছে নতুন রোভারটি।

ওই গহ্বর বা ক্রেইটারের নাম দেওয়া হয়েছে জেজেরো। মঙ্গলে অবতরণের পর একটি ছবিও পাঠিয়েছে ‘পারসি’।

‘পারসি’ ও তার দল চলমান বৈশ্বিক মহামারির চ্যালেঞ্জ কাটিয়েই মঙ্গল যাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে।

নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্টিভ জুরসিয়েক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী নাসা, যুক্তরাষ্ট্র ও মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য এই অবতরণ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরা যখন জানতে পারি যে আমরা আবিষ্কারের চূঁড়ায় রয়েছি তখনই আমরা পাঠ্যপুস্তক নতুন করে লেখার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।’

তিনি আরও জানান, ২০২০ সালে রোভার ‘পারসি’ বিজ্ঞান ও অন্বেষণকে এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় মনোভাবকে তুলে ধরেছে।

এই মিশন ভবিষ্যতে আগ্রহীদের সহায়তা করবে এবং ২০৩০ এর দশকে মানবজাতিকে লাল গ্রহে প্রাণের অনুসন্ধানের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে বলেও মনে করেন তিনি।

Perseverance
পারসিভেরেন্স রোভারের পাঠানো মঙ্গলের ছবি। নাসার টুইটার থেকে নেওয়া

মঙ্গলের মাটিতে ‘পারসি’র এই ঐতিহাসিক অবতরণের পর নাসাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জো বাইডেন।

টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘নাসা ও সেই সব মানুষ যারা পারসিভেরেন্সের এই ঐতিহাসিক অভিযানকে সফল করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন। আজ আবারও প্রমাণ হয়ে গেল যে বিজ্ঞান ও আমেরিকার উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।’

মঙ্গল গ্রহের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশ আগে থেকেই ছিল। এই প্রতিবেশী গ্রহে জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে মানবজাতি বরাবরই ভেবেছে।

মিশনটি লাল গ্রহে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করবে।

নাসার সবচেয়ে আধুনিক এই একটি গাড়ির আকৃতির রোভারকে আগামী কয়েক বছরের জন্য কয়েকটি নির্ধারিত কাজ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

রোভারটি মঙ্গলগ্রহে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন বছর আগের একটি প্রাচীন হ্রদের জেজেরো ক্র্যাটারের পাথর ও মাটিতে মাইক্রোফসিলের সন্ধান করবে।

২০৩০ এর দশকের মধ্যে পরবর্তী মিশনগুলোতে মঙ্গলে ‘পারসি’র সংগ্রহ করা সাইটের নমুনা পৃথিবীতে পাঠানো হবে।

মঙ্গলের জেজেরো গহ্বর থেকে ‘পারসি’র তোলা প্রথম সাদা-কালো ছবিটি প্রকাশ করেছেন নাসার সহযোগী প্রশাসক টমাস জুরবুচেন।

নাসার টুইটারে ‘পারসি’র পাঠানো ছবি দিয়ে সঙ্গে বলা হয়েছে, এই মহাকাশযানটি চিরদিনের জন্যে সেখানেই থেকে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Russia warns strike on Iran's Bushehr nuclear plant could cause 'Chernobyl-style catastrophe'

Iran and Israel traded further air attacks on Thursday as Trump kept the world guessing about whether the US would join Israel's bombardment of Iranian nuclear facilities.

18h ago