পটুয়াখালীতে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ: ৩ জন গ্রেপ্তার
পূর্ব বিরোধের জের ধরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্ত করছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাবলিক মাঠ এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
সূত্র জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
জিয়াউল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আমার সমর্থকরা শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে সংসদ সদস্যের সমর্থকরা বাধা দেয়। এরপর প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় কুণ্ডপট্টিতে দলীয় কার্যালয় থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মিছিলটি পাবলিক মাঠ রিকশা স্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছালে সংসদ সদস্যের লোকজন মিছিলে হামলা চালায়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার বলেন, মিছিল থেকে ইব্রাহিম ফারুকের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
সূত্র জানায়, সংঘর্ষে বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য হারুন অর রশিদ গুরতর আহত হন। প্রথমে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইব্রাহিম ফারুকের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে বাউফল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ রানা (২৫), ছাত্রলীগ নেতা মো. আরিফ (২২), মো. সিদ্দিকুল্লাহ (৪৫) ও মো. মেহেদী (২৭) বর্তমানে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
Comments