ধর্মঘটে অচল মিয়ানমার
সেনা শাসনের প্রতিবাদে আজ সোমবার ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে মিয়ানমারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের চরম হুমকি সত্ত্বেও আজ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির প্রধান শহর ইয়াংগুনের হ্লেদান জংশনে আন্দোলনস্থলে দাঁড়িয়ে সান সান মাও (৪৬) সংবাদ সংস্থাটিকে বলেছেন, ‘সবাই বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন। সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় এমআরটিভি’তে আজকের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কতা জানানো হয়েছিল।
এতে বলা হয়, ‘বিক্ষোভকারীরা সাধারণ লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। বিশেষ করে তরুণদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে।’
২২ বছর বয়সী টেট টেট হ্লায়িং বলেছেন, তিনি ভয়ে আছেন। তাই আজকের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আগে তিনি প্রার্থনা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন। তবে তিনি সাহস হারাননি।
‘আমরা এই জান্তাদের চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই ঠিক করতে চাই। আমার মা আমাকে এখানে আসা আটকাতে পারেননি। তিনি শুধু বলেছেন, সাবধানে থেকো,’ যোগ করেন এই তরুণ বিক্ষোভকারী।
গতকাল রোববার মান্দালে শহরে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় আন্দোলনে ভাটা পড়েনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশটিতে স্থানীয় দোকানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চেইন শপগুলো আজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ফুড পান্ডাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সেবাও আজ বন্ধ রয়েছে। তবে তবে কিছু কিছু ট্যাক্সিসেবা চলছে।
ইয়াংগুনের বাসিন্দারা বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসে যাওয়ার রাস্তা আজ বন্ধ রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বর্হিবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দূতাবাসগুলোর সামনে জড়ো হচ্ছেন।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কয়েকটি দেশ মন্তব্য করায় এর নিন্দা জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এক বার্তায় বলেছে, সরকার তার ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:
অভ্যুত্থান মেনে না নেওয়ার আহ্বান সু চির
যে কারণে সু চিকে সরিয়ে ক্ষমতা নিলো সেনাবাহিনী
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দায় বিশ্ব সম্প্রদায়
‘নির্বাচনে কারচুপি’র অজুহাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান
মিয়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র চায় বাংলাদেশ
ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ
Comments