পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণা করতে পারবেন স্পিকার: হাইকোর্ট
জাতীয় সংসদের স্পিকার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের শূন্য ঘোষণার আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। শহীদ ইসলাম পাপুল নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়ে গেছেন। যে কারণে এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।
জাতীয় সংসদের স্পিকার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের শূন্য ঘোষণার আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। শহীদ ইসলাম পাপুল নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়ে গেছেন। যে কারণে এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।
আজ সোমবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ কথা বলেন।
গত বছরের ১২ জুলাই লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা আবুল ফায়েজ ভূঁইয়া কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় অভিযোগ এনে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের আবেদন করেন। জাতীয় সংসদের পাশাপাশি তিনি নির্বাচন কমিশনেও আবেদন করেন।
রিট আবেদনের বিষয়ে তার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান বলেন, তার সিনিয়র শেখ আওসাফুর রহমান আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। ব্যক্তিগত কারণে তিনি ঢাকার বাইরে আছেন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ রেজা এবং এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান আদালতে শহীদ ইসলাম পাপুলের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
এই রিট আবেদনের ভিত্তিতে গত বছরের ১৮ আগস্ট আরেকটি হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দিয়েছিলেন। আদালত জানতে চান— লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত পাপুলের সংসদ সদস্য পদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?
শেখ আওসাফুর রহমান এর আগে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পপুল নির্বাচন কমিশনে ডিগ্রি পাসের সার্টিফিকেট জমা দেন এবং হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অথচ তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদ জমা দেননি। এই প্রতারণা করে তিনি সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না।
মানব পাচার, ভিসা বাণিজ্য ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বছরের ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পাপুলকে গ্রেপ্তার করে। জানুয়ারিতে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের দায়ে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত।
সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন, তারা জানতে পেরেছেন পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালতের চলমান তিনটি মামলার একটিতে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে, কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ও তার প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে কুয়েতি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মামলায় তার কারাদণ্ড ও জরিমানা হয়েছে। মানবপাচার ও অর্থ পাচারের অন্য দুটি মামলার শুনানি এখনো চলমান।
আরও পড়ুন
Comments