কূটনৈতিক চাপে মিয়ানমার, তীব্র হচ্ছে বিক্ষোভ

সেনা অভ্যুত্থানের পরে মিয়ানমার সফর বাতিল ঘোষণা করেছেন করেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
Teuku_Faizasyah_24Feb21.jpg
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: রয়টার্স
সেনা অভ্যুত্থানের পরে মিয়ানমার সফর বাতিল ঘোষণা করেছেন করেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
 
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তেওকু ফাইজাসিয়াহ জাকার্তায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্যান্য আসিয়ান দেশগুলোর মতামত নেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মিয়ানমার সফরের জন্য এটি আদর্শ সময় নয়।’
 
রেতনো মারসুদি থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমারে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। গতকাল রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সরকারের ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি নথি থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি মিয়ানমার সফরের পরিকল্পনা করছেন।
 
ধারণা করা হচ্ছিল, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের সংকট সমাধানে একটি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হবে।
 
তবে রেতনো মারসুদির সফরের পরিকল্পনা জানার পর থেকেই দেশটির গণতন্ত্রপন্থী কিছু নেতাকর্মী এর সমালোচনা করেন। তারা বলেন, জান্তা সরকারের সঙ্গে যে কোনো চুক্তির অর্থই হলো নভেম্বরের নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দেওয়া।
 
রেতনো মারসুদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মিয়ানমার সংকট নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। সূত্র জানায়, জাকার্তা এই অঞ্চলের জেনারেলদের একটি ‘সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্ত নির্বাচন’ করার জন্য মনিটর পাঠানোর প্রস্তাব করেছিল।
 
গতকাল মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের খবর ফাঁস হওয়ার পর ইয়াঙ্গুনে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের বাইরে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে।
 
মিয়ানমারভিত্তিক অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ফিউচার নেশন অ্যালায়েন্স এক বিবৃতিতে জানায়, রেতনোর সফর ‘সামরিক জান্তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সমকক্ষ’ হবে।
 
সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আজও মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হুমকি উপক্ষো করে গত সোমবার দেশটিতে বিশাল সমাবেশ ও সাধারণ ধর্মঘট পালন করা হয়।
 
এর আগে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম এমআরটিভিতে প্রচারিত সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা এখন জনগণকে— বিশেষ করে আবেগপ্রবণ কিশোর ও তরুণদের প্ররোচিত করছে, যেখানে তারা প্রাণহানির শিকার হতে পারেন।
 
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় (আসিয়ান) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকের আহ্বান জানায় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। তবে, সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

No confrontations, no use of force, Quader warns independents

Awami League General Secretary Obaidul Quader today cautioned the AL leaders running as independents not to engage in confrontations with party nominees or use any force

1h ago