যারা নিষিদ্ধ করে রেখেছিল তারাই এখন পালন করবে ৭ মার্চ: ওবায়দুল কাদের
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালনে বিএনপির সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনি বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে যারা এতদিন নিষিদ্ধ করে রেখেছিল তারাই এখন ৭ মার্চ পালন করবে। বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। বিএনপির এ প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে বলে আমি মনে করি।’
বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সবার, তাকে মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত করার অর্থই হচ্ছে দেশ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সম্মানিত করা। বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, ভৌগোলিক মুক্তি। পক্ষান্তরে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তির রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাই হবে নতুন প্রজন্মের রোল মডেল, অনুকরণীয় আদর্শ, তাদেরকে স্মরণ করেই এগিয়ে যেতে হবে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার সততা, মেধা ও সাহসের প্রতীক।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করতে এবং শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন তা সফল করতে শিশুদের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাই হবেন নতুন প্রজন্মের রোল মডেল, অনুকরণীয় আদর্শ। তাদেরকে স্মরণ করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ইতিহাসের পায়ে শেকল পরিয়ে রাখা হয়েছিল, করা হয়েছিল বিকৃত। তাই তরুণদের দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।
বর্তমান বিশ্বে সেরা তিন জন রাষ্ট্রপ্রধানের একজন শেখ হাসিনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কেউ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেননি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেননি।’
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আনোয়ারুল আবেদিন তুহিন, সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সচিব কে এম শহীদুল্লাহ।
Comments