ভারত-ইংল্যান্ডের আগে বাংলাদেশ-উইন্ডিজের টেস্টে ঘটেছিল এমনটা
ভারত ও ইংল্যান্ডের চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট দুই দিনে শেষ হয়ে ঠাঁই নিয়েছে ক্রিকেটীয় ইতিহাসের পাতায়। ঘটনাবহুল ম্যাচে সাম্প্রতিক অনেক কীর্তি ভাঙা তো পড়েছেই, ১০০ বছরের পুরনো স্মৃতিও ফিরে এসেছে। নানা পরিসংখ্যান, মাইলফলক আর রেকর্ডের ভিড়ে আহমেদাবাদে ভারতের স্মরণীয় জয়ে জুড়ে গেছে বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামও।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় ভারত। ১৯২১ সালের পর প্রথমবারের মতো দুই দিনের মধ্যে টেস্ট হারে ইংল্যান্ড। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ায় সিরিজ হারানোর ভয় আর নেই বিরাট কোহলিদের।
অতি টার্নিং উইকেটে মাত্র পাঁচ সেশনের কিছু বেশি সময়ে নিশ্চিত হয়ে যায় জয়-পরাজয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তোলে ১১২ রান। জবাবে ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও দিশেহারা ইংলিশরা গুটিয়ে যায় মাত্র ৮১ রানে। তাতে ভারতীয়দের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৯ রানের। কোনো উইকেট না হারিয়ে তা তুলে ফেলে দলটি।
ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলে ৩০.৪ ওভার। লক্ষ্য ছুঁতে ভারতকে দ্বিতীয়বারে ব্যাটিং করতে হয় ৭.৪ ওভার। দুই ইনিংসের সবগুলো ওভারই করেন স্পিনাররা। পেসাররা বল হাতেই পাননি! উপযুক্ত পরিবেশে ভারতের হয়ে হাত ঘোরান আক্সার প্যাটেল, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও ওয়াশিংটন সুন্দর। আর ইংল্যান্ডের হয়ে বল করতে দেখা যায় জ্যাক লিচ ও অধিনায়ক জো রুটকে। কোনো টেস্টে টানা দুই ইনিংসে কোনো পেসারের একটি ওভারও না করার দ্বিতীয় ঘটনা এটি।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বপ্রথম এমন চমকপ্রদ কিছু ঘটেছিল ২০১৮ সালের নভেম্বরে। ঢাকায় মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও উইন্ডিজ। কোনো পেসার ছাড়া একাদশ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ৫০৮ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল তারা।
জবাবে ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংস ৩৬.৪ ওভারে থেমেছিল ১১১ রানে। ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯.২ ওভারে তারা পৌঁছাতে পেরেছিল ২১৩ পর্যন্ত। স্পিন স্বর্গে ইনিংস ও ১৮৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। গতিময় বোলার না থাকায় টানা দুটি ইনিংসে অবধারিতভাবেই প্রতিটি ওভার করেছিলেন স্পিনাররা। ওই একাদশের পাঁচ স্পিনার ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ।
দুই বছর পর আহমেদাবাদে হলো সেই নাটকের আরেকটি মঞ্চায়ন। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ টেস্ট। সেখানে অন্তত ড্র করতে পারলেই স্বাগতিক ভারত উঠে যাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অভিষেক আসরের ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।
Comments