‘টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এ ধরনের পিচ বাজে বিজ্ঞাপন’

india cricket team
ছবি: টুইটার

টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আইসিসি কয়েক বছর আগে চালু করেছে দিবা-রাত্রির গোলাপি বলের ম্যাচ। কিন্তু এই উদ্যোগ কতখানি ফলপ্রসূ হবে যদি দুই দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায় টেস্ট?

আহমেদাবাদে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয়টি শেষ হয়েছে পাঁচ সেশনের কিছু বেশি সময়ে। সেকারণে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের অতি টার্নিং উইকেট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পক্ষে-বিপক্ষে মিলছে নানা মত। আলোচনা-সমালোচনার ঢেউয়ে যোগ দিয়ে ভারতের সাবেক অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকার বলেছেন, এমন উইকেট ভালো ক্রিকেট উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত করে দর্শকদের।

শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, উইকেট নিম্নমানের ছিল। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এ ধরনের উইকেট বাজে বিজ্ঞাপন। লোকেরা ভালো ক্রিকেট দেখার জন্য টাকা খরচ করে এবং মাঠে যায়।’

আক্সার প্যাটেল ও রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণি জাদুতে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। দুই স্পিনার মিলে দখল করেন ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের ১৮টি। তাদের মায়াজালে আটকা পড়ে ১০০ বছর পর দুই দিনে টেস্ট হেরে বসে সফরকারীরা। এমনকি অনিয়মিত স্পিনার জো রুটও হয়ে ওঠেন আতঙ্কের নাম। ইংলিশ অধিনায়ক এক ইনিংসে মাত্র ৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নাম লেখান ইতিহাসের পাতায়। স্পিন স্বর্গে ম্যাচের ফয়সালা হয় মাত্র ৮৪২ বলের মধ্যে, স্থায়িত্বের বিচারে যা ১৯৩৫ সালের পর সর্বনিম্ন।

dilip vengsarkar
ছবি: টুইটার

রুটকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে ১১৬ টেস্ট খেলা ভেংসরকার যোগ করেন, ‘দুই দলেই দেখার মতো অসাধারণ কিছু খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু যখন আপনি দেখেন যে, জো রুটের মতো দুর্দান্ত একজন ব্যাটসম্যানও দুর্দান্ত একজন বোলারে পরিণত হয়, তখন বুঝবেন, উইকেটে ব্যাপক রকমের সমস্যা রয়েছে।’

প্রথম ইনিংসে ১১২ তোলা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ৮১ রানে। উইকেটকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি দলটির ব্যাটসম্যানদের কৌশল আর দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচক, ‘ইংল্যান্ডের যথেষ্ট স্কিল আর লড়াই করার মনোবল ছিল না। তাদের অধিকাংশ ব্যাটসম্যান সোজা বলে আউট হয়েছে, যেগুলো টার্ন করছিল না। তাদের রক্ষণাত্মক কৌশল আদর্শ মানের চেয়ে নিচে ছিল, খুবই বাজে ছিল। এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় সে বিষয়ে তাদের কোনো সূত্রই ছিল না। তারা সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিল। তারা বুঝেই উঠতে পারেনি যে, সামনের পায়ে খেলতে হবে না পেছনের পায়ে। দেখে মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ডের কয়েকজন টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান গার্ড নেওয়ার আগেই মানসিকভাবে আউট হয়ে গিয়েছিল।’

একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ টেস্ট। সেখানে অন্তত ড্র করতে পারলেই স্বাগতিক ভারত উঠে যাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অভিষেক আসরের ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার আর কোনো সুযোগ নেই।

Comments