গার্দিওলার ‘৫০০’ এবং ‘অস্বাভাবিক জয়যাত্রা’

কোচ হিসেবে ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৫০০ ম্যাচ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পেপ গার্দিওলা। পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে তার দল ম্যানচেস্টার সিটি জয়যাত্রার যে নতুন কীর্তি গড়ে চলেছে, সেটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে সাবেক এই স্প্যানিশ ফুটবলারের কাছে।
শনিবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয় নিয়ে ইতিহাদ স্টেডিয়াম ছাড়ে সিটি। ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে তারা ২-১ গোলে হারায় ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে। তাতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটিজেনরা পায় টানা ২০তম জয়। একইসঙ্গে পূর্ণ হয়ে যায় সময়ের অন্যতম সেরা কোচ গার্দিওলার ক্যারিয়ারের ৫০০তম জয়। সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তার ২০০তম জয়ও বটে।
২০০৮ সালে স্বদেশি ক্লাব বার্সেলোনার কোচ হয়েছিলেন গার্দিওলা। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাফল্য উপভোগ করেছেন দুহাত ভরে। সিটির দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, বুন্দেসলিগা, প্রিমিয়ার লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপসহ অনেক শিরোপা জিতেছেন তিনি।
বার্সায় ২৪৭ ম্যাচে ১৭৯টিতে জিতেছিলেন গার্দিওলা। বায়ার্নে ১৬১ ম্যাচে তার জয় ছিল ১২১টি। সিটিতে ২০০ জয় পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৭৩ ম্যাচ। সব মিলিয়ে ৬৮১ ম্যাচে ৫০০ জয় তার। জয়ের হার শতকরা ৭৩.৪ শতাংশ। অর্থাৎ গোটা ক্যারিয়ারের চার ভাগের তিন ভাগ ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছেন ৫০ বছর বয়সী এই কোচ।
ওয়েস্টহ্যামের বিপক্ষে জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে আরেক ধাপ এগিয়েছে সিটি। ২৬ ম্যাচে তাদের অর্জন ৬২ পয়েন্ট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে ১৩ পয়েন্টে। গোল ব্যবধানে দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও তিনে থাকা লেস্টার সিটির পয়েন্ট ২৫ ম্যাচে ৪৯।
অব্যাহত জয়যাত্রা নিয়ে গার্দিওলার ভাষ্য, ‘এখন পর্যন্ত যা আমরা করেছি, সেটা নিয়ে যখন আমি কথা বলতে যাই, (তখন আমার মনে হয়) এটা অস্বাভাবিক। এটা একেবারেই ব্যতিক্রম। সাধারণত, আমি পয়েন্ট হারাবেন, ড্র করবেন, হারবেন এবং সেটাই ফুটবলে স্বাভাবিকতা।’
Comments