বিডার অনুমোদনের ৪০ দিন পরেও ভিসা পাননি ড. বিজন

ড. বিজন কুমার শীল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে ওয়ার্ক পারমিটের অনুমোদন পেয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। তবে,  অনুমোদনের ৪০ দিন পার হয়ে গেলেও ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন’ না পাওয়ায় এখনো বাংলাদেশের ভিসা পাননি ড. বিজন।

আজ সোমবার সিঙ্গাপুর থেকে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে ড. বিজন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিডা থেকে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সেই কাগজপত্র সিঙ্গাপুরে আমার কাছে পাঠিয়েছে। বিডার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি ভিসার জন্য সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেই। এর সপ্তাখানেক পর তারা জানায় যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এখনো তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পৌঁছানোর পর তারা এ বিষয়ে পরবর্তী উদ্যোগ নিতে পারবে। দূতাবাস জানিয়েছে, অনুমোদন পাওয়া গেলে তারা জানাবে এবং তখন পাসপোর্ট জমা দিতে।’

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিডা আমাদের কাছে যখন যেই কাগজপত্র চেয়েছে, আমরা তৎক্ষণাৎ সেসব কাগজ জমা দিয়েছি। পরে সব কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করেই গত ১৯ জানুয়ারি বিডা ড. বিজন কুমার শীলকে বাংলাদেশে কাজের অনুমোদন দিয়েছে। আমরাও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠিয়েছি। এখন জানছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায়নি দূতাবাস। কিন্তু, একটি বিষয় আমরা বুঝতে পারছি না। বিডা অনুমোদন দেওয়ার আগে গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে শুরু করে সবকিছুই যাচাই-বাছাই করে। তাদের চিঠিতে অনুমোদনের বিষয়টি পরিষ্কার করে লেখা আছে। এখন আবার কেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে?’

‘ড. বিজন কুমার শীল গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছিলেন, গবেষণা করছিলেন করোনাভাইরাসের কিট উদ্ভাবন নিয়ে। গবেষণার জন্যে তার বাংলাদেশে থাকাটা খুব জরুরি ছিল। এতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উভয়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’, বলেন তিনি।

ড. বিজনের বাংলাদেশের ভিসা না পাওয়ার বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি। তিনি বলেছেন, “আমাদের কোনো আপত্তি নেই।” কিন্তু, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের দূতাবাস বলেছে, “আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখনো অনুমোদন পাইনি।” বিষয়টি হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। আমরা অনেক বিনিয়োগ করেছি, ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। আরও দুই মাস আগে ড. বিজনকে আমরা পেলে ভালো হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এটাই না, আমরা যখন যেটাই করছি, বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে সাতটি ওষুধের অনুমোদনের জন্য আমরা আবেদন করেছি। এই ওষুধগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকায়। আমরা তৈরি করলে দাম হবে ৪০০ টাকা। তবুও আমরা অনুমোদন পাচ্ছি না। সবক্ষেত্রেই আমরা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছি, সহায়তা পাচ্ছি না।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফিরছেন ড. বিজন, অনুমতি পেয়েছেন

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago