ঝিনাইদহে ২ পৌরসভায় ৮ মেয়র প্রার্থীর ৬ জন হারালেন জামানত

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের দুজন ছাড়া বাকি সব মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই দুই পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট আট জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নব নির্বাচিত মহেশপুর পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন এবং কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের দুজন ছাড়া বাকি সব মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই দুই পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট আট জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, কালীগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোট পড়েছে ২৬ হাজার ৮৩৯টি। জামানত বাঁচাতে একজন প্রার্থীর আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ তিন হাজার ৩৫৪টি ভোট পাওয়া দরকার ছিল। নৌকা প্রতীকের আশরাফুল আলম আশরাফ পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দলীয় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আলহাজ মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন তিন হাজার ৭৪ ভোট। এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নুরুল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ৪৭১ এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে এনামুল হক ইমান পেয়েছেন দুই হাজার ৮১৬ ভোট।

মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১৫ হাজার ৯৭৫টি। জামানত বাঁচাতে হলে একজন প্রার্থীর প্রয়োজন ছিল এক হাজার ৯৯৬টি ভোট। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রশিদ খাঁন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯৮ ভোট, বিএনপির আমিরুল ইসলাম খাঁন চুন্নু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৫৫ ভোট, নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা কিরণ পেয়েছেন ৯২২ ভোট এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের তাহাবুর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮৩টি ভোট।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘জামানত ফেরত পেতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট পেতে হবে। এর চেয়ে কম ভোট পেলে কেউ তার জামানত ফেরত পাবেন না।’

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago