ঝুট ব্যবসার দ্বন্দ্বে আশুলিয়ায় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ, আটক ২

ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাভারের আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সমর্থক ও যুবলীগ কর্মীদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে ১৭টিরও বেশি মোটরসাইকেল।
ভাঙচুর করা মোটরসাইকেলের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাভারের আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সমর্থক ও যুবলীগ কর্মীদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে ১৭টিরও বেশি মোটরসাইকেল।

আজ সকাল ১০টার দিকে এই সংঘর্ষ হয় জানিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে।’

তবে, আটককৃতদের পরিচয় জানাননি জিয়াউল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এলাকায় ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক ভূঁইয়ার মধ্যে বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে আজ সকালে তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

যোগাযোগ করা হলে যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেন, ‘ইপিজেডের এক্সপ্রেস ফ্যাক্টরিতে আমার একটি ব্যবসা রয়েছে। কারখানাটির সঙ্গে বৈধ চুক্তির মাধ্যমে আমি দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছি। আমার শ্রমিকরা ওই কারখানার ঝুট নামানোর কাজ করে। আমার এই ব্যবসা দখল করার উদ্দেশ্যে গতকাল সাদেক ভূঁইয়ার ছেলে মনির তার লোকজন নিয়ে আমার শ্রমিকদের বের করে দেয়। গতকালই আশুলিয়া থানায় আমার ম্যানেজার সেলিম এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকাল ৯টার দিকে আমার ম্যানেজার ইপিজেডের সামনে যায়। তার (ম্যানেজার) সঙ্গে ১৫টি মোটরসাইকেলে পরিচিত আরও অনেকে ছিল। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত সাদেক ভূঁইয়ার ছেলে মনির ও তার সহযোগীরা আমার ম্যানেজারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে আমি আমার ম্যানেজারকে ঝামেলা না করে চলে আসতে বলি। বিষয়টি ওখানেই শেষ হয়।’

‘পরে আমার ম্যানেজার যখন ভাদাইল এলাকা দিয়ে এলাকায় ফিরছিল তখন অতর্কিতভাবে সাদেক ভূঁইয়া ও তার ছেলে মনিরের নেতৃত্বে এক থেকে দেড়শ মানুষ লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে,’ যোগ করেন কবির হোসেন।

তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাদেক ভূঁইয়া ও তার ছেলেকে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

যুবলীগ নেতা কবির সরকারের ম্যানেজার গতকাল থানায় অভিযোগ করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘কবির সরকারের ম্যানেজার গতকাল কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা সেটা আমার জানা নেই। আজকের ঘটনায়ও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।’

সিসিটিভি ফুটেজ

ঘটনাস্থলের পাশে একটি বাড়ির বাইরের থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছে দ্য ডেইলি স্টার। ফুটেজে দেখা যায় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে বেশ কয়েকজন ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে অপর একটি দল। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে দেখা যায়। তাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করতেও দেখা গেছে। ওই ফুটেজে ঘটনাস্থলে সাদেক ভূঁইয়াকে দেখা যায়। তিনি মোবাইল ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলছিলেন।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago