খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনের জামিন নামঞ্জুর

রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন খুলনার একটি আদালত।

আজ মঙ্গলবার রুহুল আমিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট বেগম আক্তার জাহান রুকু জামিন আবেদন করলে খুলনা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আতিকুস সামাদ সেটি নামঞ্জুর করেন।

বেগম আক্তার জাহান রুকু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রুহুল আমিনের পক্ষে তার অনুপস্থিতিতে আমি জামিন আবেদন করি। কিন্তু আদালত সেটি নামঞ্জুর করেন।’

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর গোয়ালখালির একটি মেস থেকে থেকে রুহুল আমিনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তার সঙ্গে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মুর্শিদ দোলনকেও।

পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে নিয়াজ মুর্শিদ দোলনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও রুহুল আমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তাকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বক্তারা রুহুল আমিনের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। কিছু বলতে গেলেই সরকার ও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

সংগঠনের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ দোলন বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা করায় ওই আইনে লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায় ১০ মাস কারাবন্দী থেকে কারাগারেই মারা গেছেন মুশতাক। কিশোরের অবস্থাও ভালো না। এটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নতুন করে একই আইনে মামলার শিকার হয়েছেন রুহুল আমিন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি চাই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

42m ago