নিজেদের স্বার্থে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করবে অস্ট্রেলিয়া

টেস্ট ক্রিকেটের সূচনালগ্ন থেকে শুরু দল দুটির দ্বৈরথের। সেই লড়াইয়ের আমেজ দিনকে দিন শুধু বেড়েছেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলতে যা বোঝায় আর কী! বলা হচ্ছে, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কথা। তবে তাদের একটি যদি আরেকটির সমর্থক হয়ে ওঠে, তাহলে কেমন হবে?
ভ্রূ কুঁচকে উঠলেও এমনটাই ঘটতে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাহমেদাবাদে শুরু হবে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার চার ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট। ওই ম্যাচে ইংলিশদের জয়ের জন্য প্রার্থনা করবে অজিরা! গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
কিন্তু কেন? আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অভিষেক আসরের ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অংশগ্রহণ আগেই নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে আগের টেস্টে একই ভেন্যুতে হারায় ফাইনালে ওঠার আর সুযোগ নেই ইংল্যান্ডের। ফলে লড়াইটা এখন দ্বিমুখী, কেবল ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে।
আহমেদাবাদ টেস্টে অন্তত ড্র করতে পারলেই ফাইনালে উঠবে স্বাগতিক ভারত। কেবল ইংল্যান্ড জিতলেই ফাইনালের টিকিট পাবে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ তাদের ভাগ্য ঝুলে আছে ইংলিশদের হাতে। সেকারণে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হয়ে গলা ফাটাবে অজিরা।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। সেখানেই ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘কিছুটা নিজেদের স্বার্থের ব্যাপার তো আছে, তাই না? অনেক দিন পর প্রথমবার ইংল্যান্ডকে আমরা সমর্থন করব। আশা করছি, তারা সেখানে তাদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারবে।’
সিরিজের প্রথম টেস্টে হেরেও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। আহমেদাবাদে গত টেস্টের উইকেটে স্পিনাররা ঘোরান ছড়ি। তাতে মাত্র দুই দিনে শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। একই রকম উইকেট থাকলে ইংল্যান্ডের কাজটা কঠিন হবে মানলেও তাদের জয়ের প্রত্যাশা করছেন ম্যাকডোনাল্ড, ‘নিঃসন্দেহে এটা কঠিন হতে যাচ্ছে। তারা এমন পিচে খেলছে যা স্পিন বোলিংয়ের জন্য উপযোগী। ভারতের শক্তির দিক হলো তারা স্পিন ভালো খেলে।’
‘আশা করি, (ইংল্যান্ড) ভালো করবে। দেখা যাক কী হয়। এখন আমাদের হাতে তো আর কিছু নেই। কিন্তু আমরা আগ্রহ নিয়ে ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকব।’
Comments