মিয়ানমারে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, আজ নিহত ৯

মিয়ানমারে সেনাবিরোধী গণবিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নয় জন নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমারের মান্দালে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযান। ৩ মার্চ ২০২১। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারে সেনাবিরোধী গণবিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নয় জন নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছে— মিয়ানমারের মান্দালে, ইয়াঙ্গুন ও মিইংয়ান শহরে গণবিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের এক মুখপাত্রকে এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমারের নেতা সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানোর একদিন পর মিয়ানমারজুড়ে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩০ জন মারা গেছেন।

মিইংয়ান শহরের সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারী সি থু মাং রয়টার্সকে বলেন, ‘তারা আমাদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন এবং টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছিলেন। তারপর আরো এক ধাপ এগিয়ে এসে সরাসরি স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের দিকে জলকামান ছোড়েনি বা ছত্রভঙ্গ করার মতো কোনো সতর্কতা দেয়নি। তারা সরাসরি বন্দুক চালিয়েছে।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মনিওয়া গেজেটে-র সম্পাদক কো থিত সার রয়টার্সকে বলেন, ‘মিইংয়ান শহরে মোট ছয় বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে এক কিশোর, চার পুরুষ ও এক নারী আছেন।’

এছাড়াও, পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের অনেকেরই এখনো জ্ঞান ফেরেনি।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ গুলিতে মান্দালে দুই ও ইয়াঙ্গুনে একজন নিহত হয়েছেন।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আইনপ্রণেতা, নির্বাচন কমিশনের প্রধান, নির্বাচনে বিজয়ী নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও সেনাবিরোধী আন্দোলনকারীরা আছেন।

আরও পড়ুন:

মিয়ানমারে পুলিশের গুলিতে নিহত কমপক্ষে ১৮

মিয়ানমারে সেনাবিরোধী মিছিলে পুলিশের গুলি, নিহত ২

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago