নিউজিল্যান্ডে নতুন বল নিয়ে বাংলাদেশের যত চিন্তা

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৬ ম্যাচ খেলে এখনো একটা ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বেশিরভাগ ম্যাচই শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে যেতে হয়েছে ব্যাকফুটে। একপেশে পরিস্থিতি থেকে সেসব ম্যাচে ফল নিজের দিকে আনার অবস্থা তৈরি করা যায়নি।
Mohammad Mithun

নিজেদের দেশে নতুন বলে দুই প্রান্ত থেকে দুই রকম স্যুয়িংয়ের পসরা মেলে ধরেন কিউই পেসাররা। নিউজিল্যান্ডে খেলতে গেলে বরাবরই নতুন বল বাংলাদেশকে দিয়েছে কঠিন সময়। এবারও তার ব্যক্তিক্রম হওয়ার কারণ নেই। ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন বলছেন নতুন বল সামলানোই হবে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম।

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৬ ম্যাচ খেলে এখনো একটা ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বেশিরভাগ ম্যাচই শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে যেতে হয়েছে ব্যাকফুটে। একপেশে পরিস্থিতি থেকে সেসব ম্যাচে ফল নিজের দিকে আনার অবস্থা তৈরি করা যায়নি।এবার তিন ওয়ানডে আর তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ থেকেও জয় বের করা হবে আগের মতই কঠিন। কঠিনকে জয় করতে দরকার নতুন বলে ভাল খেলা।

১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের ৭ দিন পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পেয়েছেন জিম ব্যবহারের সুবিধা। বৃহস্পতিবার থেকে ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে করবেন মাঠের অনুশীলনও।

বুধবার দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর মিঠুন জানান তাদের ভাবনা এখন মাঠের ক্রিকেটের দিকে। এবং সেখানে প্রথম এবং বড় চ্যালেঞ্জের নাম নতুন বল, ‘এখানে খেলাটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখানকার কন্ডিশন অনেক ভিন্ন আমাদের থেকে। এই ধরণের কন্ডিশনে সব সময় খেলার সুযোগ হয় না। সবাই জানে নিউজিল্যান্ডে নতুন বলটা খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়। নতুন বলটা যদি ভাল করে সামলাতে পারি তাহলে আশা করছি আগের চেয়ে অনেক ইতিবাচক ফল আসবে।’

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার বেশ আগেভাগে সেদেশে গেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও সুযোগ মিলেছে বেশি। ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডের আগে আছে যথেষ্ট প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে তাই সুযোগটা বেশি দেখছে বাংলাদেশ, ‘এটাকে আমরা অবশ্যই সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি। আগে কি হয়ে গেছে সেটার চেয়ে সামনে কি করব সেটা নিয়ে ভাবছি, আর যেহেতু এবার অনেকদিন আগে এসেছি। অনেক অনুশীলন সুবিধা পাব। দলের সবাই চেষ্টা করব।’

নিউজিল্যান্ডে প্রথম ১৪ দিন কড়া কোয়ারেন্টিন থাকলেও এরপর থেকে ক্রিকেটাররা পাবেন মুক্ত চলাচলের সুযোগ। করোনার কারণে এক বছর ধরে দেশে যে সুবিধা ছিল না, তা নিউজিল্যান্ড পেতে যাওয়ায় এক দিক থেকে ভীষণ স্বস্তি দেখছেন মিঠুন,  ‘এখনকার আবহাওয়া খুবই ভাল। এরকম আবহাওয়া থাকলে সমস্যা হবে না। আর ১৪ দিন পর আমাদের যে স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হবে এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। সবাই এটা উপভোগ করবে। কারণ গত এক বছর ধরে আমরা এই কোভিডের মধ্যে আছি। বাংলাদেশেও যতগুলো টুর্নামেন্ট হয়েছে হোটেল থেকে বের হওয়ার সুযোগ হয়নি। এখানে ভিন্ন, ১৪ দিন পরে আমরা একদম স্বাধীন চলাচল করতে পারব। সেটা ভেবে ভাল লাগছে।  ১৪ দিন কষ্ট হলেও তারপরে আমরা বেশ মুক্তভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারব।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Egg supplies take a hit

Wholesalers in Tejgaon, Ctg’s Pahartali halt selling

49m ago