মানসিকতাই ছিল জয়ের মূল চাবিকাঠি: টের স্টেগেন

ছবি: সংগৃহীত

গত মৌসুমটা শিরোপাশূন্যই কাটাতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। যে গতিতে চলতি মৌসুম এগোচ্ছিল তাতে আরও একটি শিরোপাশূন্য মৌসুমই যেন অপেক্ষা করছিল দলটির জন্য। কিন্তু আগের দিন সেভিয়ার বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ গল্প লিখে কোপা দেল রে'র ফাইনালে উঠেছে দলটি। দৃঢ় মানসিকতার কারণেই এমন জয় পেয়েছেন বলে মনে করেন দলের গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।

ক্যাম্প ন্যুতে আগের দিন সেভিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোপা দেল রে'র ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই উসমান দেম্বেলের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। আতোঁয়ান গ্রিজমানের ক্রসে জেরার্দ পিকের অসাধারণ এক হেডে বল জড়াল জালে। বার্সা শিবিরে স্বস্তি নামে তখনই। এরপর অতিরিক্ত সময়ে মার্টিন ব্র্যাথওয়েটের আরও একটি দারুণ হেডে সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে দলটি। ৩-২ ব্যবধানে ফাইনালের টিকেট পায় দলটি।

প্রথম লেগে পিছিয়ে থেকেও মানসিকভাবে দুর্বল না হওয়াটাই জয়ের মূলমন্ত্র বলে মনে করেন গোলরক্ষক টের স্টেগেন,  'এটা খুবই বিশেষ একটি ম্যাচ ছিল এবং ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের মানসিকতাই ছিল মূল চাবিকাঠি। আমরা জানতাম আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, তবে তীব্রও ছিল এবং আমরা সফলও হয়েছি। আমরা শিরোপা জিততে চাই।'

অথচ গত কয়েক বছরে নকআউট পর্বে বার্সেলোনা যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলে। এক লেগে দাপুটে জয় পেলেও পরের ম্যাচেই যেন ছন্নছাড়া হয়ে ওঠে দলটি। সেখানে সেভিয়ার কাছে প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ৩-০ গোলের জয় নিঃসন্দেহে দলের জন্য বিরাট কিছু। টের স্টেগেনের ভাষায়, 'এই বিজয়টি খুব প্রয়োজনীয় ছিল, এটি আমাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। এটি আমাদের লক্ষ্যগুলো মধ্যে একটি ছিল। তাই ফাইনালে পৌঁছে আমরা খুব খুশি।'

আর এ জয়ের অন্যতম নায়কই ছিলেন টের স্টেগেন। মাঝে একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল সেভিয়া। সেটা ফিরিয়ে দিয়ে বার্সাকে ম্যাচে রাখেন এ গোলরক্ষকই, 'পেনাল্টিতে টাই ছিল। তারা যদি আমাদের বিপক্ষে গোল করত তাহলে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন হত। আমরা টাই কাটিয়ে উঠতে পারাটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। পেনাল্টি লটারির মতো, আমি সবসময় দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করি।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago