নিউজিল্যান্ডে প্রবল ভূমিকম্প, বাংলাদেশ দল নিরাপদে

ভূমিকম্পে কেঁপেছে গোটা নিউজিল্যান্ড। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৭.৩ বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনইএমএ)। শুরুতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর তা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ সবাই সুস্থ আছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা ২৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টা ২৭ মিনিটে) ভূমিকম্প আঘাত হানে নিউজিল্যান্ডে। এটির উৎপত্তিস্থল দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলবর্তী অঞ্চলের শহর গিসবর্ন থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব সমীক্ষা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়েছিল।
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সেখানে ভূমিকম্প ততটা অনুভূত হয়নি। তাই তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘(নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত) টিম ম্যানেজমেন্টের দুজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। গভীর রাতে খেলোয়াড়রা সবাই ঘুমিয়ে ছিল। কেউ টেরই পায়নি। সবাই ভালো আছে।’
ইউএসজিএস প্রথমে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৩ বলে উল্লেখ করেছিল। পরবর্তীতে তারা জানিয়েছে, এটির মাত্রা ছিল ৬.৯। ভূমিকম্পের পর সুনামির আশঙ্কায় চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইতোমধ্যে সতর্কতা তুলে নিয়ে উপকূলবর্তী জনগণকে বাড়িতে ফিরতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত করেছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে। ভয়াবহ ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শহরটি। নিহত হয়েছিলেন ১৮৫ জন। সেই শহরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, ডানেডিনে দুদলের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী ২০ মার্চ। ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চ। ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডে হবে ২৬ মার্চ। এরপর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ারে। অকল্যান্ডে শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ এপ্রিল।
Comments