শ্রীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন, ধোঁয়ায় অসুস্থ ২২

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
Gazipur_Fire_6Mar21.jpg
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ছবি: স্টার
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
 
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিয়া রাজ দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে পোশাক কারখানার ভেতরে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আধাঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কেউ দগ্ধ না হলেও ধোঁয়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কেএম নাজমুল আহসান বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থায় আসা ১০ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। অন্তত ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।’
 
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার পরে বের হতে চাইলে কর্তৃপক্ষ গেট খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। শ্রমিক-কর্মচারীরা আগুন নেভাতে গিয়ে কেমিক্যালের গন্ধে অচেতন হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ গেট খুলে দিতে বাধ্য হয়।
 
দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার বাসিন্দা নূরুল ইসলামের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৭৫) বলেন, তার দুই নাতি মনির হোসেনের ছেলে ইউসুফ (৩২) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩০) ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে কাজ করেন। অন্যান্য দিনের মতো আজও সকালে তারা কারখানায় গেছেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
 
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কারখানার স্যাম্পল শাখার শ্রমিক আবু হানিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি আগুনের ভেতরে একজনকে পড়ে যেতে দেখেছি। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলাম। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালে।’
 
তবে মো. মিয়া রাজ আরও বলেন, আমরা কোনো মরদেহ পাইনি।
 
অগ্নিকাণ্ডের পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারখানার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। টেলিফোনে চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago