‘ত্বকী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দাবি জানিয়ে যাব’
নারায়ণগঞ্জের তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার আট বছর পূর্ণ হওয়ায় তার স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় সবাই শপথ করেন, ত্বকী হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত দাবি জানিয়ে যাবেন।
আজ শনিবার সকালে বন্দর উপজেলার সিরাজ শাহর আস্তানা কবরস্থানে ত্বকীর কবরে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এরপর শ্রদ্ধা জানায় ত্বকীর ছোট ভাই রাকিব মুহাম্মদ সাকি, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, সিপিবি, বাসদ, খেলাঘর, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশন, নাগরিক কমিটিসহ প্রথম আলো বন্ধু সভার সদস্যরা। এরপর ত্বকীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া করা হয়।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায় বলেন, ‘এখানেই শায়িত আছে আমাদের প্রিয় সন্তান তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। প্রতিবছর ৬ মার্চ আমরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে আসি। এ শ্রদ্ধা জানানো একটি শপথ। যেকোনো মূল্যে আমরা ত্বকী হত্যার বিচার চাই। যতদিন পর্যন্ত আমরা ত্বকী হত্যার বিচার না পাব, ততদিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। আমরা আজও সেই শপথে বলিয়ান আছি এবং সেই প্রত্যয় আমাদের থাকবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে ত্বকী শহরের শায়েস্তাখান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ (নিখোঁজের একদিন পর) এ লেভেল পরীক্ষার রেজাল্টে পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিল, যা সারাদেশে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া, ও লেভেল পরীক্ষাতেও সে পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন পরীক্ষাতে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল।
ওই বছরের ৮ মার্চ সকালে চাড়ারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ত্বকীর মরদেহ পাওয়া যায়। ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আট জনই পলাতক। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ধেহে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে দুই জন আসামি ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু, এ হত্যাকাণ্ডের আট বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি।
Comments