কুয়াকাটায় মন্দিরের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, রাখাইনদের মানববন্ধন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মিশ্রিপাড়া রাখাইন সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় রাখাইনরা।
আজ শনিবার মন্দির কমিটির উদ্যোগে মন্দিরের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে শতাধিক রাখাইন নারী-পুরুষ অংশ নেন।
কর্মসূচিতে সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু, বেতকাটা বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধি মংচো তালুকদার, পক্ষিয়াপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের প্রতিনিধি অংজোয়ে, পটুয়াখালী বুদ্ধিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদার ও নারী রাখাইন মাচুষে বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী মন্দিরের সামনের জায়গা দখল করে হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক স্থাপনা তুলেছেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে এসব স্থাপনা নিয়ে কিছু না বললেও, মন্দিরের সৌন্দর্য বিনষ্ট করায় সম্প্রতি তারা দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু দখলকারীরা সেখান থেকে যাচ্ছেন না।
মন্দিরের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু বলেন, ‘মন্দির কর্তৃপক্ষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা কামনা করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।’
দখলকারীদের একজন মাইনদ্দিন বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই মেনে নেব।’
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাখাইনদের অভিযোগ পেয়েছি। কাগজপত্রসহ উভয়পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
১৯১১ সালে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায় উপাসনা ও ধর্মীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে সীমা বৌদ্ধ মন্দিরটি স্থাপন করেন। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তিটি এ মন্দিরে রয়েছে। এ কারণে অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক এটি দেখতে আসেন।
এক দশমিক ৮৬ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ মন্দিরের চারদিকে ২০১৩ সালে জার্মান সরকারের অর্থায়নে সীমানা প্রাচীর ও কাটাতারের বেড়া দেওয়া হয়।
Comments