আগেভাগে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার সুবিধা দেখছেন বাশার

habibul bashar

ব্যাট-বলের লড়াই শুরুর প্রায় এক মাস আগে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। তাই সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তুলনামূলক বাড়তি সময় পাচ্ছেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। যা আসন্ন সিরিজে কাজে লাগবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক হাবিবুল বাশার।

স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ডানেডিনে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী ২০ মার্চ। ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চ। ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডে হবে ২৬ মার্চ। এরপর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ারে। অকল্যান্ডে শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ এপ্রিল।

দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে পা রাখে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর তিন দফা করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয় সবার। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের প্রথম সাত দিন শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।

শনিবার নিউজিল্যান্ড থেকে ভিডিও বার্তায় সাবেক ক্রিকেটার বাশার বলেছেন, খেলোয়াড়রা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন, ‘আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। তো এই সময়টাতে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন সবাই এবং এখানকার সুযোগ-সুবিধা আসলেই খুব চমৎকার।’

‘এরপর কুইন্সটাউনে কয়েকদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাব। তো আমার মনে হয়, আমরা যে কষ্টটুকু করছি আগে এসে, সেটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারছি। এটা খুব ভালোভাবেই কাজে লাগবে এই সিরিজে। কারণ, এখানকার কন্ডিশন আমাদের কন্ডিশনের থেকে একেবারেই ভিন্ন। হয়তো ডানেডিনে ঠান্ডা একটু বেশি থাকবে। কিন্তু উইকেট একরকমই থাকবে।’

ক্রিকেটারদের ভাবনার মাঝে নিজের প্রত্যাশার মিল খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাশার, ‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেটুকু কথা হয়েছে, সবাই খুব খুশি। যেটুকু সময় পাচ্ছেন, তারা খুব ভালো মতো কাজে লাগাতে পারছেন। খুব বেশি সময় যদিও পাচ্ছেন না। তারা ভীষণ খুশি এবং তারা মনে করছেন যে, এই যে সময়টুকু এই সিরিজের আগে, তা পরে কাজে লাগবে।’

লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষায়িত মাঠে খেলোয়াড়-স্টাফ মিলে সাত জনের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে চলছে ঘাম ঝরানো। এভাবে অনুশীলন চলবে মোট সাত দিন। এরপর মিলবে কোয়ারেন্টিন থেকে পুরোপুরি মুক্তি, মিলবে স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ।

কোয়ারেন্টিনের শুরুর দিকের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বাশার, ‘প্রথম কয়েকদিন খুব কঠিন ছিল। প্রথম দুই-তিন দিন আমাদের বুঝতে সময় লেগেছে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। সবার জন্যই বেশ কঠিন ছিল। চার-পাঁচ দিন পরে তো আমরা বাইরে বের হতে পারছিলাম। সবার সঙ্গে একটু হলেও দেখা হচ্ছিল। এখন অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছি।’

‘এখানে অনেক বড় একটা সুবিধা হলো ১৪ দিন পরই কিন্তু আমরা মুক্ত। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারব। যে কোনো জায়গায় যেতে পারব এবং খেলার বাইরে সময়টা খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারব। এটা কিন্তু একদিকে ভালো যে, আপনি ১৪ দিন কষ্ট করছেন, তারপর কিন্তু আপনাকে আর জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে না।’

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago