জয়পুরহাটে ৫ একর জমির পপি গাছ ধ্বংস, ৫ কৃষক আটক
অবৈধভাবে পপি চাষ করার অভিযোগে জয়পুরহাটের পাঁচ কৃষককে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার দুপুরে তাদের আটক করা হয় এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সদর উপজেলার দুটি গ্রামে প্রায় পাঁচ একর জমিতে অবৈধভাবে চাষ করা আফিম গাছ ভেঙে দেয়।
জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানপোইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষক বনখুর ও বড়তাজপুর গ্রামে গত বছরের শেষ দিকে পাঁচ একর জমিতে আফিম চাষ করেন।
বনখুর গ্রামের কৃষক আবু নাসের বলেন, ‘গত বছর এক একর জমিতে আফিম গাছ লাগিয়েছিলাম। স্থানীয় অনেকে এসব চাষ করে লাভ করছে দেখেই আমিও করেছিলাম। এই ফসল যে মাদক হিসেবে ব্যবহার হয় তা জানতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমি নই, গত বছর পাঁচ জনেরও বেশি কৃষক তাদের চার একর জমিতে এই ফসল চাষ করেছে।’
খবর পেয়ে জয়পুরহাট র্যাবের একটি দল আজ দুটি গ্রামে যায় এবং পপি গাছ ধ্বংস করার জন্য শ্রমিক মোতায়েন করে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. কায়সার ইকবাল বলেন, ‘কৃষকরা কর্মকর্তাদের অজ্ঞাতসারে তাদের জমিতে আফিম চাষ করেছেন। যেসব কৃষক আফিম চাষ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
জয়পুরহাটের মাদকদ্রব্য বিভাগের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামের একজন কৃষক রহিম হাজী আরও কয়েকজন কৃষককে পপি চাষে উৎসাহিত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমি এসব গাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি।’
তিনি আরও জানান, জয়পুরহাটের ডেপুটি কমিশনার ও তার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সব কিছু জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর মামলা দায়ের করা হবে।
জয়পুরহাটের র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশীদ বলেন, ‘জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুটি গ্রামে প্রায় পাঁচ একর জমিতে আফিম গাছ চাষ করা হয়। অভিযানের সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চার লাখ ২৩ হাজার ৫০০ পপি গাছ ধ্বংস এবং ১৬ লাখ ৯৪ হাজার আফিম বীজ জব্দ করেছে।’
তিনি আরও জানান, এসময় রাজেন্দ্র দাস (৬০), নইমুদ্দিন মণ্ডল (৬০), গোলাম মোস্তফা (৬৫), রিপন সর্দার (৩৭) ও নেপাল চন্দ্র দাসকে (৫২) আটক করা হয়েছে।
Comments