যারা দেশের ইমেজ নষ্ট করবেন, তাদের জামিনের বিষয় বিবেচনা করব না: প্রধান বিচারপতি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর ও অশালীন মন্তব্য করার বিষয়ে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শিক্ষিত মানুষ এমন কাজ কীভাবে করতে পারে সে প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।
দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর ও অশালীন মন্তব্য করার বিষয়ে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শিক্ষিত মানুষ এমন কাজ কীভাবে করতে পারে সে প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় এক আসামির জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়ে আজ রোববার তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় তো মানুষ স্যাটায়ার করে। কিন্তু আমাদের এখানকার মতো কুৎসিতভাবে লেখে না। যেসব ভাষা লেখে একজন শিক্ষিত মানুষ, কীভাবে এসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে? তাহলে শিক্ষার দাম কী হলো?’

তিনি আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, দেশের ইমেজ সবার আগে। সাবধান করে বলছি, যারা দেশের ইমেজ নষ্ট করবেন, তাদের জামিনের বিষয়ে আমরা বিবেচনা করব না।’

আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চের সভাপতিত্বকালে প্রধান বিচারপতি সতর্ক করে এসব মন্তব্য করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করায় সিলেটের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ারের জামিন মঞ্জুর করা হলে হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।’

তবে, ফেসবুকে কী লেখা হয়েছিল এবং কাদের নামে লেখা হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি তিনি।

শুনানি চলাকালে এসব বিষয় না জানাতে বিশ্বজিৎ দেবনাথকে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন আদালত।

স্বাস্থ্যগত কারণে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মো. গোলাম সরোয়ারের এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

গোলাম সরোয়ারের আইনজীবী এম আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘র‌্যাব তার মক্কেলের নামে সিলেট থানায় গতবছর ১৫ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এফআইআর দায়ের করে। প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট কয়েকজনের নামে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তিনি গত বছর ১৪ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মক্কেল যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকেন, সে বিষয়ে সতর্ক করতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী আমি সেটি করব।’

তিনি জানান, শীর্ষ আদালতের আদেশের পর সিলেট জেল থেকে তার মক্কেলের মুক্তি পাওয়ার আর কোনো আইনি বাধা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago