করোনার টিকা: বিদেশিদের নিবন্ধন শুরু ১৭ মার্চ

ছবি: রাশেদ সুমন

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশিদের নিবন্ধন শুরু হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, অর্থাৎ আগামী ১৭ মার্চ থেকে।

বাংলাদেশে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জরুরি কাজে নিয়োজিত ও ৪০ বছরের বেশি বয়সীদেরসহ এখন পর্যন্ত দেশে ৩৬ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটে এক হাজার দুই শ কূটনীতিককে ভ্যাকসিন দিয়েছে সরকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু দ্রুত গতিতে টিকাদান কর্মসূচি চলছে ও ভ্যাকসিনের সরবরাহও সন্তোষজনক, তাই দেশে ভ্যাকসিন নেওয়ার উপযোগী সব ব্যক্তি ও বিদেশিদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গত ৩ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইস্যু করা এক সার্কুলারে বলা হয়, ‘প্রথম ধাপে এ/এ১/এ২/এফএ২/ডি/এনডি/এম ক্যাটাগরির ভিসাধারী বিদেশি নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভিসার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।’

সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ মার্চ থেকে তাদের নিবন্ধন শুরু হবে। ভ্যাকসিনের নিবন্ধন ওয়েবসাইট ও অ্যাপে (সুরক্ষা) বিদেশিদের নিবন্ধনের জন্যে আলাদা ক্যাটাগরি যোগ করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) অধ্যাপক মিজানুর রহমান গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, উল্লেখিত ভিসাধারী বিদেশি নাগরিকদেরকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস, হাইকমিশন বা সংস্থার মাধ্যমে তাদের বিস্তারিত তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

‘সেই তথ্যের মধ্যে থাকবে তাদের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, জেন্ডার, ভিসার ধরন, ভিসা নম্বর, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, কোম্পানির নাম ও স্থানীয় ফোন নম্বর।’

অধ্যাপক মিজানুর বলেন, ‘যারা ভ্যাকসিন নেবেন, তারা তাদের তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেই তথ্য পাঠানো হবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ে। এরপর আইসিটি মন্ত্রণালয় নিবন্ধন ব্যবস্থায় বিদেশিদের নাম যোগ করবে।’

তিনি বলেন, নিবন্ধন শেষে নিবন্ধনকারীরা ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ উল্লেখিত এসএমএস পাবেন। তারা যেই কেন্দ্র নির্বাচিত করবেন ওই তারিখে সেই কেন্দ্রে গিয়ে তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন একজন কূটনীতিক।

তিনি ডেইলি স্টারের এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘যে দেশগুলো দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে, বাংলাদেশ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি জানতে পেরে খুশি হয়েছি যে, বাংলাদেশ সরকার এখন এখানে বসবাসরত বিদেশিদের ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

গত ৫ নভেম্বর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। দুই চালানে সেই চুক্তির ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এর আগে, ভারত থেকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যা গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সমর্থিত অ্যালায়েন্স ও গ্যাভির মাধ্যমেও এক কোটি ২৮ লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

53m ago