উপজেলা আ.লীগের সভাপতির ওপর কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ

হামলার শিকার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে একদল যুবক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের (৭৫) ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার রুপালি চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত খিজির হায়াত খানকে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

খিজির হায়াত খাঁন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধিতা করায় তার সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে কাদের মির্জা আমার ওপর অনেক দিন ধরেই ক্ষিপ্ত। সম্প্রতি কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে সব আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বসার কোনো জায়গা না থাকায় অফিস হিসেবে রুপালি চত্বরে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে আমরা ডেকোরেশনের কাজ করছিলাম। বিকেল ৫টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক যুবক সেখানে এসে বলে, এখানে কিসের অফিস? এ কথা বলেই আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করে, বেধড়ক মারধর করে। আমাকে কলার ধরে রাস্তার নিয়ে এসে লাথি, কিল, ঘুষি মারে, পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। তারা আমাকে এমন ভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার, গরু চোর।’

তিনি থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনো সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর হামলার প্রতিবাদে তার অনুসারীরা সন্ধ্যার পর রুপালি চত্বর এলাকায় ও বসুরহাটে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ নিয়ে বসুরহাটে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কাদের মির্জার অনুসারীরা বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় এবং খিজির হায়াত খাঁনের অনুসারীরা কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে এবং মাঝখানে পুলিশ রয়েছে।

এ বিষয়ে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি নিজে ফোন ধরেননি। তবে কাদের মির্জার এক ঘনিষ্ঠ সহচর বলেন, কাদের মির্জা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর কোনো হামলা করেনি। বরং তার সঙ্গে থাকা লোকজন খিজির হায়াত খাঁনের ওপর চড়াও হলে কাদের মির্জা তাকে রক্ষা করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিকেলের এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। খিজির হায়াত খাঁন লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবে।’

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

4h ago