একটি ‘ফলস পজিটিভ’ রিপোর্ট এবং প্রিটোরিয়াসের ‘বিচিত্র অভিজ্ঞতা’

Ruhan Pretorius
ছবি: সংগ্রহ

ম্যাচের ৩০ ওভার হয়ে গেছে, এরমধ্যে তিনি ৪ ওভার বল করে ১ উইকেটও পেয়ে গেছেন। আচমকা এই সময় ডাক পড়ল রুহান প্রিটোরিয়াসের। পরিয়ে দেওয়া হলো পিপিই, সবার থেকে তাকে করে ফেলা হলো আলাদা। বন্ধ হয়ে গেল খেলা। তাকে জানানো হলো তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে কয়েকঘন্টা পার করার পর জানা গেল সেই রিপোর্ট ভুলভাবে এসেছিল  ‘পজিটিভ’। পরের ম্যাচে মাঠে নেমে তিনি দলের সেরা পারফর্মার।

আয়ারল্যান্ড উলভস- বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া প্রথম ওয়ানডের সেই ঘটনার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রিটোরিয়াস। সোমবার ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানান কি পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন সেদিন,  ‘সত্যি বলতে আজব লাগছিল। অদ্ভুত দিন গেল। নিয়ম অনুযায়ী সবার কোভিড নেগেটিভ নিয়েই প্রথম ম্যাচ শুরু করি। এরপর হুট করে প্রথম ইনিংসের মাঝে আমাকে মাঠের বাইরে নিয়ে গেল। খেলা বন্ধ হয়ে গেল। জানানো হলো আমি কোভিড পজিটিভ, একদম হতবাক হয়ে গেলাম।’

‘তাৎক্ষণিকভাবে সবার থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হলো। একটা স্যুট (পিপিই) পরতে হলো। অ্যাম্বুলেন্সে তুলে আমাকে হোটেলে এনে আইসোলেটেড করা হলো। সেখানেই সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম।’

হতভম্ব পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন ম্যাচ আয়োজকরাও। সেদিন করোনার রিপোর্ট আসতে দেরি হয়েছিল। প্রথম দফা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ থাকায় খেলা শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। ম্যাচের মাঝে  দ্বিতীয় সফার রিপোর্ট আসায় বাধে বিপত্তি। তখন খেলা বন্ধ করা ছাড়া উপায় ছিল না।

প্রোটকল অনুযায়ী আরও দুটি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাকে। কয়েকঘন্টার ব্যবধানেই পান ‘নেগেটিভ’ ছাড়পত্র। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে এত দ্রুত সেরে উঠেছেন, বিষয়টা এমন না। সংশ্লিষ্টরাই তাকে জানিয়েছেন সেদিনের রিপোর্টটি ছিল ভুল,  ‘টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা ছিল দারুণ। পুরো পরিস্থিতি দক্ষভাবে সামলেছে তারা। দুটি পরীক্ষা করা হয় আমার। দলের বাকিদের একটি। ভাগ্য ভালো দুই পরীক্ষাতেই আমার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। মেডিকেল স্টাফরা জানান, সেদিনের রিপোর্ট ছিল “ফলস পজিটিভ”।’

তবে আরও দুই দফা পরীক্ষার আগে নিজেকে করোনা আক্রান্তই ভেবে নিয়েছিলেন প্রিটোরিয়াস। দক্ষিণ আফ্রিকায় বেড়ে উঠে পরে আয়ারল্যান্ডে পাড়ি জমানো ৩০ বছর বয়েসী অলরাউন্ডার প্রস্তুত হচ্ছিলেন নিবৃতবাসের, ‘আমি গতকাল (রোববার) খেলতে পারব বলে ভাবিনি। উদ্ভট একটা পরিস্থিতিতে ছিলাম। ধরে নিয়েছিলাম ১৪ দিন থাকতে হবে আইসোলেশনে। দুবার নেগেটিভ আসায় পরে স্বাভাবিক হয়েছি।’

দ্বিতীয় ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ ৯০ রানের ইনিংস খেলেন প্রিটোরিয়াস। মিডিয়াম পেসে পরে নেন ১ উইকেটও।

Comments

The Daily Star  | English

Govt at it again, plans to promote retirees

"A list of around 400 retired officials is currently under review though it remains unclear how many of them will eventually be promoted"

10h ago