কোম্পানীগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত অর্ধশত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকরা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের সময় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন।
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: স্টার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকরা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের সময় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ককটেলের বিষ্ফোরণ, গাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে লক্ষ্মীপুর থেকে র‌্যাব-১১ এর একটি দল, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত সাড়ে ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা।

বাদল অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবাদ সভার শেষ পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে হামলা করে কাদের মির্জার সমর্থকরা।

এ ব্যাপারে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘কারা হামলা করেছে আমি জানি না। হামলার সঙ্গে আমি বা আমার কোনো লোক জড়িত নয়।’

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাব-১১ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। হামলায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties want road map to polls

Leaders of major political parties yesterday asked Chief Adviser Prof Muhammad Yunus for a road map to reforms and the next general election.

4h ago