বাদ পড়ল বার্সেলোনা, শেষ আটে পিএসজি

১৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা।
messi and mbappe
ছবি: টুইটার

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের স্বপ্নে শুরু থেকেই বার্সেলোনা ছিল উজ্জীবিত। কিন্তু যতগুলো সুযোগ তারা তৈরি করল, কাজে লাগাতে পারল না তার সিকিভাগও! উল্টো পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন লিওনেল মেসি। তার সতীর্থরাও যেন ভুলে গেল জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে। ফলে সামনে থাকা প্রায় অসম্ভব সমীকরণটি মেলানো হয়নি কাতালানদের। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে তাদের বিদায় করে শেষ আটে নাম লেখাল পিএসজি।

বুধবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে দুদলের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোলে। স্পট-কিক থেকে কিলিয়ান এমবাপে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর অসাধারণ এক গোলে ম্যাচে সমতা টানেন মেসি। প্রথম লেগে বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে এমবাপের হ্যাটট্রিকে ৪-১ গোলে জিতেছিল পিএসজি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে জিতে ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাধারীরা পেয়েছে পরের পর্বের টিকিট।

বল নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতিপক্ষের মাঠে পুরো ম্যাচে রাজত্ব করে বার্সা। রোনাল্ড কোমানের দল রীতিমতো কাঁপিয়ে দেয় পিএসজিকে। সেগুলো হাতছাড়া না করলে রোমাঞ্চকর একটি লড়াইয়ের দেখা মিলত নিঃসন্দেহে। কিন্তু সুযোগ নষ্টের মহড়ায় উসমান দেম্বেলের সঙ্গে যোগ দেন মেসিও। ফলে ১৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে বার্সেলোনার ব্যর্থতা আটকানো যায়নি।

প্রথমার্ধেই পিএসজির গোলমুখে ১৬টি শট নেয় স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল নয়টি। সবমিলিয়ে তদের নেওয়া ২১ শটের দশটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, প্রতিপক্ষের আক্রমণের ঝড় সামাল দিতে হিমশিম খাওয়া পিএসজি নিজেরা তেমন বিপজ্জনক হয়ে ওঠেনি। তাদের নেওয়া মাত্র সাতটি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।

দেম্বেলে-মেসিদের ব্যর্থতার ভিড়ে খেলার ধারার বিপরীতে ৩১তম মিনিটে লিড নেয় পিএসজি। ক্লেমোঁ লংলে ডি-বক্সে মাউরো ইকার্দিকে ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে বাকিটা সারেন অনায়াসে। ছয় মিনিট পর দূরপাল্লার বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। তার আচমকা শট ফেরানোর কোনো উপায় ছিল না ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা কেইলর নাভাসের।

বিরতির ঠিক আগে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি পান বার্সাকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান কমানোর সুযোগও বটে। কিন্তু তার দুর্বল স্পট-কিক রুখে দেন পিএসজির গোলরক্ষক নাভাস। বল তার পায়ে লেগে বাধা পায় ক্রসবারে। ডি-বক্সে আঁতোয়ান গ্রিজমানকে লেইভিন কুরজাওয়া ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল সফরকারীরা।

বিরতির পরও ম্যাচের লাগাম মুঠোয় রাখে বার্সেলোনা। কিন্তু প্রথমার্ধের মতো আগ্রাসী রূপে তাদেরকে দেখা যায়নি। মেসি-সার্জিও বুসকেতসরা অল্প কিছু সুযোগ পেলেও নাভাসকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের। ফলে নিশ্চিত হয় বার্সার ছিটকে যাওয়া। আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার উল্লাসে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

Comments