ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ বছর আগের মামলার ঘটনায় সংঘর্ষ, নিহত ১

Brahmanbaria.jpg
সংঘর্ষের পর ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় চার বছর আগে সংঘটিত হত্যা মামলার জের ধরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরও অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকালে ওই উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে উভয়পক্ষের লোকেরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘটনার পর ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন কসবা-আখাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) নাহিদ হাসান। নিহত একজন হলেন— নিমবাড়ি গ্রামের মৃত লতিফ ভূঁইয়ার ছেলে ফায়েজ ভূঁইয়া (৫৮)।

এএসপি নাহিদ হাসান জানান, ২০১৭ সালে পূর্ব শত্রুতার জেরে নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডু গোষ্ঠী ও কাবিলা গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে পান্ডু গোষ্ঠীর রহিছ মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। এরপর কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার আসামিরা দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি জামিন পেয়ে এলাকায় আসেন। এরপর কাবিলা গোষ্ঠীর লোকেরা পূর্বের মামলাটি তুলে নিতে পান্ডু গোষ্ঠীর লোকদেরকে হুমকি-ধামকি দেন। এই হুমকি-ধামকির সূত্র ধরে দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আজ সকালে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় কাবিলা গোষ্ঠীর দাঙ্গাবাজরা স্থানীয় বাজার থেকে ফেরার পথে আগের হত্যা মামলাটির সাক্ষী ফয়েজ মিয়াকে পেছন দিক থেকে টেঁটাবিদ্ধ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

সংঘর্ষে আহত অন্যান্যদের মধ্যে ফয়েজ মিয়া ও রিমন নামে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মো. আরিফুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আহত ফায়েজ মিয়া বাম পায়ে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। এ ছাড়া, তার শরীরের অন্যান্য স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম ছিল। হাসপাতালে আসা দুই জনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago