বিপিএলের জন্য সময় বের করা নিয়ে বিপাকে বিসিবি

জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে চলতি বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি আসর মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলের জন্য ফাঁকা সময় বের করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে চলতি বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি আসর মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

বিপিএলের সর্বশেষ আসর ২০১৯ সালের শেষ দিকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ হয়। অনিয়মিত হয়ে পড়া দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি আসরটি চলতি বছরে মাঠে নামানো বেশ কঠিন।

শনিবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে ইসমাইল হায়দার জানালেন, বিপিএলের জন্য দুটো উইন্ডোর কথা ভেবেছেন তারা। তবে সম্ভাবনার বিচারে শেষেরটিই এগিয়ে, ‘বিপিএল হচ্ছে কী হচ্ছে না, সেটা আমরা আমাদের সূচি দেখে বলতে পারব। দুটি উইন্ডো খোলা আছে। একটা নভেম্বরে। ওই সময়ে আবার পাকিস্তানে আসার কথা আছে (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচি অনুযায়ী)। আবার ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড আসার কথা খুব সম্ভবত (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে আছে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর)। সেক্ষেত্রে বিপিএল পিছিয়ে জানুয়ারিতে হতে পারে।’

ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য তৈরি করেছে পাঁচ বছরের একটি খসড়া ক্যালেন্ডার। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের না পেলেও যাতে ঘরোয়া ক্রিকেট চালানো যায় তার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে তাতে। তবে  কেবল বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিশ্চিত করার ভাবনা থাকায় টুর্নামেন্টটির নির্দিষ্ট সময় বের করা হয়ে যাচ্ছে কঠিন,‘দেখুন ক্যালেন্ডার মিটিংয়ে আমরা ৫ বছরের জন্য ক্যালেন্ডার ঠিক করছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে পরিমাণে ব্যস্ত সফর ও সিরিজ আছে, ভবিষ্যতে অনেক সময়ই জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এনসিএল, বিসিএল বা ঢাকা লিগে অংশ নিতে পারবে না। আমরা চেষ্টা করব বিপিএলে যেন জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার আছে। এটা মাথায় রেখে করা হচ্ছে।’

২০১২ সাল থেকে আয়োজিত হওয়া বিপিএলের জন্য কখনই নির্দিষ্ট সময় ঠিক করতে পারেনি বিসিবি।

 

 

Comments