কাদের মির্জাসহ ৯৭ জনের নামে আদালতে আরও একটি মামলার আবেদন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আ. লীগ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ৯৭ জনের নামে আদালতে আরও একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও, এতে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের স্ত্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আ. লীগের সভাপতি আরজুমান পারভীন রুনু বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের চার নং আমলি আদালতে এ আবেদন করেন।
বিকেলে বাদীর আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে দায়েরের পরামর্শ দেন।
বাদীর আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাদী তার আবেদনে যে অভিযোগ করেছেন তা চার নং আমলি আদালতে না করে দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে দাখিলের পরামর্শ দেন। আগামীকাল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাদী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাদীর লিখিত অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জা ছাড়াও তার ছোটভাই শাহাদাত হোসেন এবং কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে ৯৭ জনের নাম ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
বাদী আরজুমান পারভীন রুনু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে কাদের মির্জা তার সমর্থকদের নিয়ে আমার স্বামী প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর গত সোমবার হামলা চালান। এ সময়, খিজির হায়াত খানকে মারধর করে তার পরিধেয় বস্ত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়।’
এ বিষয়ে আবদুল কাদের মির্জা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমাকে ঘায়েল করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছেন খিজির হায়াতের স্ত্রী। ঘটনার দিন কিছু মানুষ খিজির হায়াতের ওপর হামলার করতে গেলে আমি তাকে রক্ষা করি এবং রিকশায় তুলে নিরাপদে বাড়ি পাঠিয়েছি। ওই ঘটনার একটু পরেই তিনি তার পাঞ্জাবি নিজে নিজে ছিঁড়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। মিজানুর রহমান বাদল ও অপরাজনীতির হোতা একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশেই খিজির হায়াত খানের স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে আদলতে গেছেন। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
Comments