সেই আগুয়েরোকে পাস দেন না তার সতীর্থরা!
২০১১-১২ মৌসুমের কথা। প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিততে কিউপিআরের বিপক্ষে জিততেই হতো ম্যানচেস্টার সিটিকে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পর্যন্ত উল্টো ১-২ গোলে পিছিয়ে ছিল তারা। এরপর নাটকীয়ভাবে যোগ করা সময়ে দুটি গোল দিয়ে শিরোপায় চুমু খেয়েছিল সিটিজেনরাই। আর শেষ গোলটি করে নায়ক সের্জিও আগুয়েরো। সে মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই সিটির পরিকল্পনা তৈরি হতো এ আর্জেন্টাইনকে ঘিরেই।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সব চিত্র গেছে পাল্টে। সেই আগুয়েরো এখন একাদশেই জায়গা পান না। একের পর এক ইনজুরিতে নিজের স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে পারছেন না। ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা লিগে এ মৌসুম গোল দিতে পেরেছেন মাত্র ১টি। অবশ্য ইনজুরির কারণে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৮টি ম্যাচ। সবমিলিয়ে এ মৌসুমে ১৪ ম্যাচ খেলে করেছেন তিন গোল। প্রায় সব ম্যাচই খেলেছেন বদলী খেলোয়াড় হিসেবে। আর মাঠে নামলেও সতীর্থদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য পান না এ তারকা।
আগের দিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে ৭৫তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার বদলী নামেন আগুয়েরো। কিন্তু বলার মতো কিছুই করতে পারেননি। তবে ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ টেলিভিশন ক্যামেরা তাকে ঠিকই খুঁজে নেয়। সেখানে নিজের ব্যর্থতার জন্য সতীর্থদের কাঠগড়ায় তোলেন তিনি, 'আমাকে তারা বল পাস দেয় না।'
ইংলিশ গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, কোনো বিশেষজ্ঞ নম্বর নাইন ছাড়াই খেলার পরিকল্পনা এঁটেছেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। আগের দিনও কেভিন ডি ব্রুইনকে মূল ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলিয়েছেন। নিয়মিত সুযোগ পান না আরেক বিশেষজ্ঞ ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুসও। সবমিলিয়ে আগুয়েরোকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই নেই গার্দিওলার।
এদিকে মৌসুম শেষেই সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরচ্ছে আগুয়েরোর। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা করেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই নতুন ক্লাব খুঁজছেন এ আর্জেন্টাইন। গুঞ্জন অনুযায়ী আগামী মৌসুমে বন্ধু লিওনেল মেসির ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দিতে পারেন তিনি।
Comments