রিয়ালে যোগ দেওয়া নিয়ে 'সত্য লুকোচ্ছেন' এমবাপে

ছবি: টুইটার

সরাসরি না বললেও কিলিয়ান এমবাপে যে রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে চান, এ গুঞ্জন প্রায় সর্বজন স্বীকৃত। তার খুব কাছে মানুষরাই এ গুঞ্জনের মূল উৎস। আর রিয়াল মাদ্রিদও তাকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে। এ নিয়ে অনেকবারই সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন এ তরুণ। আসল সত্যটা কি, তা এখনও জানা যায়নি। তবে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া নিয়ে 'সত্য লুকোচ্ছেন' বলে মনে করেন পিএসজির সাবেক উইঙ্গার জেরোম রোথেন।

২০১৭ সালের মোনাকো থেকে ধারে পিএসজিতে যোগ দেন এমবাপে। পরের বছর ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তাকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেয় দলটি। ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ১৫৭টি ম্যাচ খেলে ১১৬টি গোল করেছেন ২২ বছর বয়সী এ তরুণ। পাশাপাশি ৫৯টি গোলে সহায়তাও করেছেন। চলতি মৌসুমেই এখন পর্যন্ত ৩১ ম্যাচে করেছেন ২৪ গোল। দলের এমন পারফর্মারকে নিশ্চিতভাবেই ছাড়তে চায় না পিএসজি। আর এ জন্য কয়েক দফা নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ক্লাবটি। কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিতে সাক্ষর করেননি এ তরুণ।

গুঞ্জন তাই প্রতিদিনই ডালা মেলছে। আর সাবেক ফরাসি তারকা রোথেন মনে করছেন রিয়াল মাদ্রিদের আর্থিক সংকট শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন এমবাপে। অন্যথায় পিএসজিতেই হয়তো থেকে যেতে পারেন এ তরুণ। মূলত সুবিধাজনক পরিস্থিতি খুঁজতেই এমবাপে এখনও দল বদল কিংবা চুক্তি নবায়ন নিয়ে কথা বলছেন বলে মনে করেন রোথেন, 'আমার ধারণা, সে (এমবাপে) কখনও কখনও কিছু সত্য লুকিয়ে রাখে।'

এমবাপে যদি রিয়ালে যেতে চান তাতে কোনো সমস্যা দেখছেন না রোথেন। এটা সম্পূর্ণই এমবাপের ব্যক্তিগত ইচ্ছা বলে জানান তিনি, 'এটা খুব জটিল ব্যাপার। আমরা তার মাথার মধ্যে নেই এবং তার নিজস্ব কিছু লক্ষ্য ও ইচ্ছা রয়েছে। সে কি পিএসজিতে থাকতে রাজি? আমার মনে হয় না। অন্যথায় এরমধ্যেই সে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ফেলতো। আমার মনে হয় সে অনুভব করছে তার ভবিষ্যৎ অন্য কোনো জায়গায়। এটা কোনো সমালোচনা নয়। তার এমনটা ভাবার অধিকার রয়েছে।'

তবে সমস্যা অন্য জায়গায় দেখছেন রোথেন। এখনও বিষয়টি নিয়ে এমবাপে খোলাসা করে কিছু না বলায় লুকোচুরি দেখছেন এ সাবেক ফরাসি উইঙ্গার, 'আমার কথা হচ্ছে সে কেন সরাসরি বলছে না। আমি এটি খুব বেশি পছন্দ করি না। কারণ এর অর্থ হলো আপনি একজন সুবিধাবাদী। আপনার লক্ষ্য ছিল রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া, কিন্তু মাদ্রিদ থেকে আর্থিক সংকট দূর না হলে আপনি আর পারবেন না। এটি কোনো সৎ কিছু নয়।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago