এবার হারলে 'প্রস্তুতির ঘাটতি'কে ঢাল বানাতে পারবেন না তামিমরা

নিউজিল্যান্ডে বরাবর কন্ডিশন বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ দলের জন্য। প্রচণ্ড বাতাস ও ঠাণ্ডায় ঘাসের উইকেটে খেলে এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্যই পায়নি টাইগাররা। তবে এবার ব্যাপারটা কিছুটা হলেও ভিন্ন হতে পারে। কারণ দেশটির মাটিতে প্রায় এক মাস হয় পা রেখেছে টাইগাররা। লম্বা সময় সে দেশটির মাটিতে থাকায় তাদের কন্ডিশনে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই এবার সাফল্য না পেলে 'প্রস্তুতির ঘাটতি'কে ঢাল বানাতে পারছেন না তামিমরা।
Tamim Iqbal

নিউজিল্যান্ডে বরাবরই কন্ডিশন বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ দলের জন্য। প্রচণ্ড বাতাস ও ঠাণ্ডায় ঘাসের উইকেটে খেলে এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্যই পায়নি টাইগাররা। তবে এবার ব্যাপারটা কিছুটা হলেও ভিন্ন হতে পারে। কারণ দেশটির মাটিতে প্রায় এক মাস হয় পা রেখেছে টাইগাররা। লম্বা সময় সে দেশটির মাটিতে থাকায় তাদের কন্ডিশনে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই এবার সাফল্য না পেলে 'প্রস্তুতির ঘাটতি'কে ঢাল বানাতে পারছেন না তামিম ইকবালরা।

গত ২৪ ফেব্রিয়ারি নিউজিল্যান্ডে পৌঁছায় বাংলাদেশ। প্রথম ৪৮ ঘণ্টা হোটেল রুমে আইসোলেশনে থাকার পরের ১৪ দিন মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য বের হতে পেরেছিলেন তারা। এরপর ১০ মার্চ থেকে পূর্ণ মুক্তি মেলে। তবে এর মাঝে জিম সেশন করার সুযোগ মিলেছে। শেষ দিকে ৭ জনের গ্রুপ অনুশীলনের সুযোগও পায় তারা। আর এখন তো অনুশীলন চলছে পূর্ণোদ্দমে। সবমিলিয়ে এবার প্রস্তুতিটা দারুণ। আর এ সব কারণেই সাফল্য পেতে দারুণ আশাবাদী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম।

বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদ প্রকাশ করে টাইগার অধিনায়ক বলেন, 'এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারত না। কারণ ১৪ দিন আমরা কোয়ারেন্টিন করেছি। তারপরে আমরা দুটি অনুশীলন সেশন করে যদি আমরা মাঠে নেমে যেতাম তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুব কঠিন একটা বিষয় হতো। তো যে পরিকল্পনাটা করেছিলাম আমরা, বিসিবিতে যারা সংযুক্ত ছিল এই পরিকল্পনার সঙ্গে অসাধারণ একটি কাজ করেছে। পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।'

এর আগে অন্যান্য সিরিজে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না পেলে কন্ডিশনের অজুহাত দিয়েছেন অনেক অধিনায়কই। তবে লম্বা সময় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে থাকায় এমন কোনো অজুহাত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেই জানালেন তামিম, 'আগেও বলেছিলেন সিরিজ খারাপ হোক বা ভালো হোক এই কথা আপনি শুনবেন না যে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না বা পর্যাপ্ত সময় পাইনি। কারণ আমার কাছে মনে হয় যে আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন (প্রয়োজন) মাঠে গিয়ে এগুলো কার্যকর করা ও ভালো খেলা, এটাই হলো এখন ব্যাপার।'

'গত ৬-৭দিন আমরা নিজেদেরকে যেভাবে প্রস্তুত করেছি, আমরা চেষ্টা করছি যে আমরা সবকিছু যেন ব্যবহার করতে পারি। এতটুক বলতে পারি যে আমরা প্রথম ম্যাচের আগে পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত। হয়তোবা আমাদের মুখ শুনবেন না যে (এমনকি এই সিরিজ ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক) প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল। আমার কাছে মনে হয় যে এখন পর্যন্ত যে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট।' -যোগ করেন তামিম।

যতোদিনই নিউজিল্যান্ডে থাকুক না কেন, কন্ডিশন নিয়ে তারপরও কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকছেই টাইগারদের। তবে এটা সব দলের জন্যই হয় জানালেন তামিম, 'নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে স্বাভাবিকভাবে নতুন বলে প্রথম ১০-১৫ ওভার অনেক কঠিন সময়। তাই এই সময়ে উইকেট পড়ে যাওয়া বা সংগ্রাম করা স্বাভাবিক। কারণ আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত এখানে বল বেশি সুইং করে। তাই নিউজিল্যান্ডে নতুন বল খুব চ্যালেঞ্জিং। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, এটা পৃথিবীর যে সকল দল এখানে আসে, সে সব দলের ক্ষেত্রে হয়।'

উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে কখনোই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সব সংস্করণ মিলিয়ে পরিসংখ্যানটা কিউইদের পক্ষে ২৬-০! এখন পর্যন্ত ১৩ ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টির প্রতিটিতে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে হার। এবার ভিন্ন কিছু করতে চায় টাইগাররা। সে লক্ষ্যে ডানেডিনে আগামী ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামবে তারা। ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চ। ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডে হবে ২৬ মার্চ। এরপর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ারে। অকল্যান্ডে শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ এপ্রিল।

Comments