চীনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের জন্য সীমান্ত খুলেছে চীন

চীনের সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। বিদেশিরা এখন চাইলেই চীন ভ্রমণে যেতে পারছেন। তবে শর্ত একটাই, দেশটিতে প্রবেশ করতে হলে ‘চীনে তৈরি’ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে যেতে হবে।
ছবি: রয়টার্স

চীনের সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। বিদেশিরা এখন চাইলেই চীন ভ্রমণে যেতে পারছেন। তবে শর্ত একটাই, দেশটিতে প্রবেশ করতে হলে ‘চীনে তৈরি’ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে যেতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্তত ২৩টি দেশে চীনের দূতাবাস থেকে দেওয়া ভিসার নতুন শর্তের বরাত দিয়ে আজ শনিবার সিএনএনের এ তথ্য জানায়।

তবে এই শর্তে চীনের ভিসা পাওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সব দেশে এখনো চীনে তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয় এবং এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনও পায়নি।

এ কারণে চীনের এমন শর্তকে ‘ভ্যাক্সিন কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন হংকং সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক নিকোলাস টমাস।

তিনি বলেন, চীন এটাই বলতে চাইছে যে ‘আমাদের দেশে আসতে চাইলে আমাদের ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে হবে।’

ভ্যাকসিন তৈরি ও বিতরণকারী দেশগুলোর মধ্যে চীন বেশ এগিয়ে আছে। গত ১৫ মার্চের তথ্য অনুযায়ী, চীন ২৮টি দেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি করেছে এবং শুধুমাত্র চীনেই প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষ সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত ও স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত পাঁচ ধরণের টিকা নিয়েছেন।

এই পাঁচ ধরনের ভ্যাকসিনের কোনোটিরই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ডেটা প্রকাশ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার কারণে এসব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে রয়ে গেছে অস্বচ্ছতা।

চীনের ভ্যাকসিন যেসব দেশ নিয়েছে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় কম হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ধরা যায় চীনের সিনোভাক ভ্যাকসিনের কথা। চীনে এর কার্যকারিতা ৭৮ শতাংশ দেখালেও ব্রাজিলে ট্রায়ালে তা ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। চীনে এবং ব্রাজিলে উভয় জায়গাতেই এর কার্যকারিতা ফাইজারের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট কোনো একটি দেশে তৈরি ভ্যাকসিন কূটনৈতিক চাপের মাধ্যমে জনপ্রিয় করার চেষ্টা না করে সবার উচিত বিশ্বজুড়ে এর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। শুধুমাত্র সেটা হলেই এই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

Comments