‘পরিস্থিতি কঠিন হলেও আমরা ১৩০ করার দল নই’
শুরুতে ব্যাটিং কঠিন ছিল বটে। কিন্তু উইকেটে টিকে থাকার দৃঢ়তার ছাপ মেলেনি, শট সিলেকশনে পাওয়া যায়নি সামর্থ্যের ছিটেফোঁটা। অল্প রানে গুটিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে সিরিজে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এতে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে গর্বের জায়গায় আঘাত লেগেছে বলে মনে করছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শনিবার ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ধুঁকতে থাকার পুরনো নাটকের নতুন করে মঞ্চায়ন দেখা গেছে। মাঠের লড়াই শুরুর আগে অনেক আশার বাণী শোনানো রাসেল ডমিঙ্গোর দল ৪১.৫ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১৩১ রানে। ১৭২ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে তামিমদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। যে পিচ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে শ্বাপদসংকুল মনে হচ্ছিল, সেই একই পিচে পরে তাণ্ডব চালান মার্টিন গাপটিল-হেনরি নিকোলসরা।
ম্যাচের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না তারা, ‘সত্যি কথা বলতে, এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কোনো কিছুই নাই নেওয়ার। যদি আমার বলতেই হয়, তাহলে (শেখ) মেহেদি (হাসান) যে ৫-৬ ওভারের স্পেল করেছে, ভালো বল করেছে। এছাড়া, আমি কোনো কিছু দেখি না, যে এখান থেকে নেওয়ার (কিছু) আছে।’
মাত্র ১৩১ রানে তল্পিতল্পা গোটানো মানতে পারছেন না এই বাঁহাতি ওপেনার। তবে দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সকালে ব্যাটিং করাটা কঠিন ছিল। সিম হচ্ছিল, স্যুয়িং হচ্ছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের আউটগুলো যদি দেখেন, এখানে ৩-৪টা ডিসমিসাল খুবই অর্বাচীনের মতো ছিল, যেগুলো আমরা আশা করি না। যেটা আমি বললাম, আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক গর্ব করি। আর ১৩০ রান করলে... ১৩০ রান করার মতো আমাদের দল না, যতই কঠিন পরিস্থিতি থাকুক না কেন।’
সামনের ম্যাচগুলোতে ভুল শোধরানোর প্রত্যাশাও জানান তামিম, ‘অবশ্যই আমরা ভালো খেলিনি। ভুল শট সিলেকশন ছিল দেখেই ১৩০ রান করেছি। আশা করি, সামনের ম্যাচগুলোয়... যে ভুল আমরা করেছি, যে আউটগুলো ছিল, এগুলোর যদি আমরা পুনরাবৃত্তি না করি (তাহলে ভালো কিছু হবে)। এখানে যদি আমাদের ভালো কিছু করতে হয়, তাহলে কমপক্ষে ২৭০-২৮০ রান করতে হবে।’
দুদলের ওয়ানডে সিরিজের আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আগামী ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চ ও ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে মুখোমুখি হবে তারা।
Comments