পুলিশের অনুমানের চেয়ে বেশি কৃষক আছেন দিল্লি সীমান্তে, কৃষক নেতাদের দাবি
দিল্লির দুই সীমান্তে ভারতের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এখনো ৪০ হাজারের বেশি কৃষক বসে আছেন বলে জানিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ। তবে কৃষক নেতাদের দাবি, এই সংখ্যা পুলিশের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুমান, সিংঘু সীমান্তে ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার বিক্ষোভকারী বসে আছেন এবং আরও টিকরি সীমান্তে আছেন আরও ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার বিক্ষোভকারী কৃষক।
আজ রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, হরিয়ানার মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন টিকিয়ে রাখতে ক্ষুদ্র ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। তবে, আধা সামরিক বাহিনী এখনো এই রাজ্যের উত্তেজনা সামলাতে স্থানীয় পুলিশকে সাহায্য করে যাচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হরিয়ানা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করেন, ২৬ জানুয়ারি হরিয়ানার আন্দোলস্থলে কৃষকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
কিন্তু, নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো সীমান্তে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী আছেন।’
এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গাজীপুর সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উদ্যোগ হরিয়ানায় পাল্টা প্রভাব ফেলেছিল। হরিয়ানায় কৃষকরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। অনেক কৃষক বিচলিত হন এবং এই ঘটনার পর কিছু কৃষক মহাপঞ্চায়েত বসায়। গাজীপুরের ওই ঘটনার পর আন্দোলন আরও জোরালো হয়ে ওঠে। যেখানে ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত সংবাদমাধ্যমের কাছে কেঁদেছিলেন। এরপরের ১০-১৫ দিন হরিয়ানার পরিস্থিতি অনেক উত্তেজিত ছিল।
তবে, আন্দোলনের গতি এখন মন্থর হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন এই কর্মকর্তা।
Comments