সরকারি অর্থ আত্মসাৎ

পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন মোজাহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ডা. শাহ মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পটুয়াখালীর একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
পটুয়াখালী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ডা. শাহ মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পটুয়াখালীর একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

পটুয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন আজ রোববার দুপুরে এ আদেশ দেন। সরকারি অর্থ উত্তোলনপূর্বক কাজ না করে ভুয়া, জাল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেন তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুদকের আইনজীবী কে বি এম আরিফুল হক টিটু বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল আলম এমএস কোর্সের জন্য ছুটিতে থাকায় সাবেক সিভিল সার্জন ডা. শাহ মোজাহিদুল ইসলাম দুমকি উপজেলার অতিরিক্ত আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাবদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করে ভুয়া, জাল ভাউচার ব্যবহার করে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৮ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া গেলে পটুয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর পটুয়াখালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেন তদন্ত শেষে ওই অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেলে ডা. শাহ মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র দাখিল করেন।

ডা. শাহ মোজাহিদুল ইসলাম বর্তমানে উপ-পরিচালক হিসেবে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্মরত আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে ডা. শাহ মোজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago