লিজেন্ডদের যুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন ভারত
ভারতের রায়পুরে এক সময়ের বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে বসেছিল সাবেকদের মিলনমেলা। অবশেষে ফাইনাল দিয়ে শেষ হয়েছে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেট। তাতে লঙ্কান লিজেন্ডদের হারিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত লিজেন্ডস।
রোববার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১৪ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি লঙ্কান দলটি।
মূলত, ইউসুফ পাঠানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় পায় ভারত। প্রথমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ভারতকে এনে দেন বড় সংগ্রহ। এরপর বল হাতেও ঘূর্ণির মায়াজাল বিছান তিনি। তার ঘূর্ণিতেই লঙ্কানদের টপ অর্ডার ধসে পড়ে।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো ছিল শ্রীলঙ্কার। অধিনায়ক তিলকারাত্নে দিলশানকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন সনথ জয়াসুরিয়া। তবে এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। দুই ওপেনারকে ফেরান ইউসুফ। স্কোরবোর্ডে ২৯ রান যোগ করতে ৪টি উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে দলটি।
এরপর চিনথাকা জয়াসিঙ্গেকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন কৌশল্য বিরারাত্নে। ৬৪ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। একসময় এ দুই ব্যাটসম্যান জয়ের দারুণ সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন। ১৭তম ওভারের শেষ তিন বলে টানা তিনটি বাউন্ডারিতে (একটি চার ও দুটি ছক্কা) ম্যাচে ফিরেছিলেন তারা।
কিন্তু পরের ওভারেই ফিরে যান বিরারাত্নে। এরপর আর শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন জয়াসুরিয়া। ৩৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩০ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় জয়াসিঙ্গে করেন ৪০ রান। এছাড়া ৩টি করে চার ও ছক্কায় মাত্র ১৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন বিরারাত্নে।
ভারতের পক্ষে ২৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান ইউসুফ। আর ২৯ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন তার ভাই ইরফান পাঠান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। তবে তৃতীয় উইকেটে যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে দারুণ এক জুটিতে সে চাপ সামলে নেন অধিনায়ক শচিন টেন্ডুলকার। গড়েন ৫৩ রানের দারুণ এক জুটি।
এরপর অধিনায়ক ফিরে গেলে ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন যুবরাজ। চতুর্থ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ভারত।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ইউসুফ। ৩৬ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। ৪১ বলে ৬০ রান আসে যুবরাজের ব্যাট থেকে। ৪টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন এ অলরাউন্ডার। এছাড়া ২৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে শচিন ৩০ রান করেন।
Comments