নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক রিকশাসহ ২৫ ঘর পুড়ে গেছে

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে একটি গ্যারেজের অর্ধশতাধিক রিকশাসহ অন্তত ২৫টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে, এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে একটি গ্যারেজের অর্ধশতাধিক রিকশাসহ অন্তত ২৫টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে, এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গতকাল সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চাঁদমারী বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাত ১২টা ১০ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে চারটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ছয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ১০টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বস্তির মোহাম্মদ আলীর কাগজের গোডাউন থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর দ্রুত আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশেপাশের মানুষ আগুন বলে চিৎকার শুরু করলে বস্তির লোকজন বের হয়ে এসে নিজেরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। কিন্তু, আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করে। ততক্ষণে একটি গ্যারেজের অর্ধশতাধিক রিকশা আগুনে পুড়ে যায়। এ ছাড়াও, আশেপাশের আরও অন্তত ২৫ ঘরের আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত দেড়টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ছুটে গিয়েছি। সেখানে অন্তত ২৫টি ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’ সেসময় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago