রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু ও শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন মিয়া, আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও রফিকুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে শেখ এনামুল হক পলাতক।
গত ১১ মার্চ এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষ হয়।
২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্যান্ডেল তৈরির সময় ৭৬ কেজি ওজনের একটি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল বোমাটি উদ্ধার করে। পরের দিন সেখানে অনুষ্ঠেয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার পুলিশ হত্যাচেষ্টা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছিল। পরবর্তী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
২০০১ সালের ৮ এপ্রিল অপরাধ তদন্ত বিভাগ মুফতি হান্নানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়। ওই বছরের ২ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরবর্তীতে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ জঙ্গি সংগঠন হুজি’র ১০ নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
এরা হলেন— ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক, রাশেদ ওরফে আবুল কালাম, ইউসুফ ওরফে মোশাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক।
এ ছাড়া, মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুর ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন এবং আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, মোহিবুল্লাহ ওরফে মোফিজুর রহমান এবং সারওয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জন কারাবন্দি এবং ১১ জন পলাতক। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে আদালত খালাস দেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:
Comments