রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসস্তুপ থেকে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোহসীন কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসস্তুপ থেকে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোহসীন কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, 'এ পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ নিখোঁজ আছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কেউ নিখোঁজ আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এমন হতে পারে হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের অনেকেই অন্য শিবিরে তাদের আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে জানা যাবে। এজন্য ক্যাম্প ইনচার্জ ও আরআরআরসি অফিস কাজ করছে।'

ত্রাণ সচিব মোহাম্মদ মোহসীন জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নয় হাজার ৩০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই পরিবারগুলোর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এ ছাড়া আশ্রয় শিবিরগুলোর কাছে স্থানীয়দের প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় নিশ্চিত করতে এবং পুনর্বাসনের জন্য সরকার কাজ শুরু করেছে।

আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, উদ্ধার করা মরদেহগুলো রোহিঙ্গা শিবিরের কবরস্থানে ক্যাম্প প্রশাসনের সহযোগিতায় দাফন করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা শিবির ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে তথ্য জানানোর জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. রনজন বড়ুয়া রাজন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বর্তমানে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অনেক উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু আছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত সবাইকে শিবিরের ভেতরে অবস্থিত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের চিকিৎসা দিতে ১১টি দল গতকাল বিকেল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।

সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোহাম্মদ মোহসীন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজোয়ান হায়াত, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শক মো. মোশাররফ হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন-

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়েছে ১ হাজার ঘর

কক্সবাজারে বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

7h ago