পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন

প্রথম দফায় বিজেপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা, নেই মিঠুন চক্রবর্তী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
বিজেপির সমাবেশে মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই চূড়ান্ত তালিকায় ১৩ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হলেও তাতে নেই জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নাম।

গত ৭ মার্চ কলকাতায় বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা ছিল।

আজ বুধবার এনডিটিভি জানায়, মর্যাদাপূর্ণ দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারি আসন থেকে মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। বিজেপি সূত্র থেকেও জানা যায় যে, ওই আসনটি মিঠুনের জন্যই উন্মুক্ত ছিল।

তবে, চূড়ান্ত তালিকায় দেখা গেছে, ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহা। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে কাশ্মীরের দায়িত্ব সামলেছেন।

আট ধাপে অনুষ্ঠিতব্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী কোনো ধাপে অন্য কোনো আসন থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা হতে পারে বলে এখনও জল্পনা রয়েছে বিজেপিতে।

বলিউড ও পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। একসময় নকশাল আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতা, বামপন্থী হিসেবে পরিচিতি, ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভায় দায়িত্ব পালন এবং অবশেষে বিজেপিতে যোগদান- সব মিলিয়ে তার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

বিরোধীদের সমালোচনায় উঠে আসে মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয়। গত বছর মহাক্ষয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও জোর করে গর্ভপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন এক নারী।

সব কিছুর পরেও মমতার বিপরীতে মিঠুনকেই বিজেপির ‘তুরুপের তাস’ বলে ভাবা হচ্ছিল। কিছুদিন আগে মিঠুন কলকাতার ভোটার হলে নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার আলোচনা আরও জোরালো হয়।

এনডিটিভি বলছে, বর্তমান কোনো প্রার্থীর পরিবর্তে পরে তাকে প্রার্থীতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ মার্চ। করোনা মহামারির কারণে এবার আট দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। আগামী ২৯ এপ্রিল ভোট গ্রহণ শেষ হবে এবং ফল প্রকাশ করা হবে ২ মে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রার্থী পরিবর্তন করা যাবে।

আগামী ৩০ মার্চ মূল আসন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর কথা রয়েছে মিঠুনের। নির্বাচনের আগে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম আসন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রার্থী হয়েছেন। ফলে এই আসনটিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। আগামী ৩০ মার্চ দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নন্দীগ্রামে উপস্থিত থাকতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

8h ago