শহিদুলের সেঞ্চুরি, জয়ের পথে ঢাকা মেট্রো

বোলিংটাই তার মূল কাজ। তবে প্রয়োজনে ব্যাটিংটাও খুব একটা খারাপ করেন না। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে চারটি ফিফটি ছিল তার। তবে এবারই প্রথম তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন শহিদুল ইসলাম। বোলার থেকে রীতিমতো ব্যাটসম্যান বনে গিয়ে বড় লিড এনে দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিসকে। তাতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে জয়ের সুবাস পাচ্ছে দলটি। অপর ম্যাচে রাজশাহী বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি শেষ দিনের রোমাঞ্চকর সমাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ছবি: বিসিবি

বোলিংটাই তার মূল কাজ। তবে প্রয়োজনে ব্যাটিংটাও খুব একটা খারাপ করেন না। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে চারটি ফিফটি ছিল তার। তবে এবারই প্রথম তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন শহিদুল ইসলাম। বোলার থেকে রীতিমতো ব্যাটসম্যান বনে গিয়ে বড় লিড এনে দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিসকে। তাতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে জয়ের সুবাস পাচ্ছে দলটি। অপর ম্যাচে রাজশাহী বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি শেষ দিনের রোমাঞ্চকর সমাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগের দিন ৭ উইকেটে ৩২৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রো এদিন শেষ তিন উইকেট হারিয়ে আরও ৮৯ রান যোগ করে। তাতে প্রথম ইনিংসেই ১৭২ রানের লিড পায় দলটি।

অসাধারণ ব্যাটিং করে ১০৬ রানের দারুণ এক কার্যকরী ইনিংস খেলে থামেন শহিদুল। ১৫০ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংসটি। দারুণ ব্যাটিং করেছেন তার বোলিং পার্টনার আবু হায়দার রনিও। করেন ৩৯ রান। সবচেয়ে বড় কথা অষ্টম উইকেটে এ দুই ব্যাটসম্যান ১৪০ রান যোগ করেন। ফলে প্রথম ইনিংসে ৪১৩ রানে অলআউট হয় দলটি।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ আশরাফুলকে হারায় বরিশাল। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সৈকত আলীর সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন মইনুল ইসলাম। এরপর সৈকত আউট হলে সালমান হোসেনকে নিয়ে ৭৯ রানের আরও দারুণ একটি জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন তিনি।

কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। স্কোরবোর্ডে ৪৮ রান যোগ করতে ৫টি উইকেট হারায় বরিশাল। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭৭ রান। ৫ রানের লিড নিয়েছে তারা। শেষ দিনে বাকী ৩ উইকেট নিয়ে বড় লিড নিতে না পারলে বড় হারই দেখতে হতে পারে তাদের।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মইনুল। ১৫৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। সালমানের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ঢাকা মেট্রোর পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ও রনি।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অপর ম্যাচটি অবশ্য বেশ জমে উঠেছে। আগের দিন ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারানো চট্টগ্রাম এদিন ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে লড়াই করে। যদিও দিনের শুরুতে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা মেহেদী হাসান রানাকে হারায় তারা। তবে সপ্তম উইকেটে আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাহাদাত হোসেনের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটিতে দলকে লড়াই করার মতো লিড এনে দেন ইরফান। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রানে অলআউট হয় দলটি।

২৮৩ রানের লক্ষ্যে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে নেই রাজশাহী। তবে ছোট ছোট জুটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষে ১৪৭ রান তুলেছে তারা। জিততে হলে দিনের আরও ১৩৬ রান করতে হবে তাদের। অন্যদিকে চট্টগ্রামের চাই শেষ পাঁচ উইকেট।

রাজশাহীর জন্য আশার খবর দারুণ ব্যাটিং করে ৫১ রানে অপরাজিত আছেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। তার সঙ্গে অপরাজিত রয়েছেন ফরহাদ রেজা। চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছে ইরফান হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago