ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ, রেলস্টেশন ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছেন। দুপুরে শহরের পৌর এলাকার ভাদুঘর থেকে প্রথম বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। বিকেলে পৌনে চারটার দিকে তারা রেলস্টেশনে ভাঙচুর করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাদের বিক্ষোভ চলছিল।
এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ ও বিক্ষোভের ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা মাসুক হৃদয়।
মাসুক হৃদয় বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা আমার ওপর হামলা করেছে। তারা আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ছবি মুছে ফেলেছে। তারা ২০-২৫ মিনিট আমার মোবাইল রেখে সব ছবি ডিলিট করে মোবাইল ফেরত দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মীর মোহাম্মদ শাহিনসহ আরও কয়েকজন মিলে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করেন।’
বিক্ষোভকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও পুরাতন কাচারি এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভকারীরা স্টেশন চত্বরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং এ ঘটনার পর থেকে রেল চলাচল বন্ধ আছে। ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাদুঘর এলাকায় আটকা পড়েছে।
জানা গেছে, আজ দুপুর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বিক্ষোভ শুরু করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। প্রথমে তারা পৌর এলাকার ভাদুঘর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে টি.এ. রোড এলাকায়ও মিছিল বের হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে স্টেশন চত্বরে বিকট শব্দে কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পরপরই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় প্রশাসনের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসাসহ শহরতলীর আশপাশের বেশ কয়েকটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ করছিল।
আরও পড়ুন
Comments