বায়তুল মোকাররম এলাকায় সংঘর্ষ: ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪৮ জন

রাজধানীর বাইতুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সাংবাদিকসহ প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন।
33.jpg
বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে বায়তুল মোকাররমে প্রবেশ করছে পুলিশ। ছবি: প্রবীর দাশ

রাজধানীর বাইতুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সাংবাদিকসহ প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দ্য ডেইলি স্টারের ঢামেক সংবাদদাতা জানান, হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতা অনুযায়ী, রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষে আহত ১৪৮ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা হলেন- মাহতাব হোসেন (৩২), বাবু (৪০), সামির (২১) ও রহমতউল্লাহ (৪৮)।

2.jpg
সংঘর্ষকালে একটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে, সংঘর্ষে আহত দ্য ডেইলি স্টারের ফটোসাংবাদিক আমরান হোসেন ও প্রবীর দাশ, ৭১ টেলিভিশন ও বাংলানিউজ ২৪ ডট কম’র দুই সাংবাদিকসহ মোট পাঁচ জন সাংবাদিক চিকিৎসা নিয়ে ঢামেক ত্যাগ করেন।

ঢামেকে তাদের চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।

চিকিৎসা নিতে এসে হামলার শিকার

ডেইলি স্টারের ঢামেক সংবাদদাতা আরও জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাইতুল মোকাররম থেকে আহত চার জন চিকিৎসা নিতে ঢামেকে আসেন। তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এলে সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাদেরকে বেধড়ক মারধর করেন। পুলিশের সহায়তা চেয়েও ওই চার জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেননি। পরে সঙ্গীরা তাদেরকে সেখান থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বাইতুল মোকাররম থেকে চার জন এসেছিলেন চিকিৎসা নিতে। সেসময় জরুরি বিভাগের সামনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা হঠাৎ করেই ওই চার জনের ওপর হামলা করে বসেন। সেসময় আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাদেরকে ঠেকাতে পারিনি। পরে অবশ্য আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।’

DMC Attack.jpg
বাইতুল মোকাররম থেকে আহত চার জন চিকিৎসা নিতে ঢামেকে এলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাদেরকে বেধড়ক মারধর করেন। ছবি: স্টার

ভুক্তভোগী ওই চার ব্যক্তি পরে চিকিৎসা না নিয়েই ঢামেক থেকে চলে যান বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আজ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে মিছিল শুরু করেন। পরে পুলিশ তাদের ওপর রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। সেসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ডেইলি স্টারের ফটোসাংবাদিক আমরান হোসেন ও প্রবীর দাশ গুরুতর আহত হন।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি কিংবা কাউকে আটকও করা হয়নি। কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। কিন্তু, কতজন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুন:

বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ, ডেইলি স্টারের ২ ফটোসাংবাদিকসহ আহত অন্তত ৬০

হাটহাজারীতে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ, নিহত ৪

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago