সহজ শর্তে ঋণের দাবিতে রাবির প্রশাসন ভবনে তালা

সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে ও ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির সদস্যরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে কর্মচারীদের অবস্থান। ২৯ মার্চ ২০২১। ছবি: স্টার

সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে ও ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির সদস্যরা।

আজ সোমবার সকাল আটটায় প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

তাদের দাবি— কর্মচারীদের কর্পোরেট ঋণে সুদের হার নয় শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আনসারীকে অন্যত্র বদলি করা।

সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাব্বির হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কর্পোরেট ঋণ সুদের হার নয় শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে তারা দাবি জানিয়ে আসছেন। উপাচার্য তাদেরকে মৌখিক আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য সর্বশেষ সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, আমরা সাত দিনের মধ্যে কোনো প্রতিফলন দেখিনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।’

এ দিকে হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালককে অন্যত্র বদলির দাবির বিষয়ে সাধারণ কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কর্মচারীরা লোনের বিষয় কথা বলতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা আনসারী তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আনসারীর সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন।

ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম ভুট্টো বলেছেন, ‘দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে রাখব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সিনেট মিটিং হতে দেব না।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেছেন, ‘কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। তাদের সব সমস্যা একবারে সমাধান করা সম্ভব নয়। তারপরও আমরা কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

1h ago